সাতকানিয়ায় চুরি করতে গিয়ে একচোর গণপিটুনিতে নিহত

সৈয়দ আককাস উদদীন, সাতকানিয়া

সাতকানিয়ার কাঞ্চনায় চুরি করতে গিয়ে হাতনাতে ধরা পড়ে এক চোরের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ঘোষের বাড়ি এলাকার প্রদীপ দত্তের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই চোরের পরিচয় না বল্লেও মারা যাওয়ার আগ মুহূর্তে কেরানীহাট কেরানীহাট বলে তাকে আত্মচিৎকার করতে শুনেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।তারা বলছেন, চুরি করতে ধরা পড়ে আরও দুই চোর পলাতক।

এদিকে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ২টার দিকে কাঞ্চনার ঘোষের বাড়ির দরিদ্র প্রদীপ দত্তের বাড়িতে চুরি করতে যায় তিন চোর।
চুরিও করে ফেলে তারা। কিন্তু চলে যাওয়ার সময় বাড়ির মালিক প্রদীপ দত্ত বুঝতে পারায় চোররা রড দিয়ে পেছনে আঘাত করে এবং প্রদীপের ছেলে শিমুল দত্তকে খুন্তি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তাৎক্ষণিক তাদের শোর-চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে দুই চোর পালালেও এক চোর আটকে যায় স্থানীয়দের হাতে। পরে হিন্দুবাড়ির লোকজন তাকে গনপিটুনি দিলে এক পর্যায়ে ধৃত চোর মারা যায় বলে নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য একই এলাকার একই পাড়ার সন্তোষ দত্ত।

এদিকে প্রদীপ দত্ত আর প্রদীপ দত্তে ২০ বছরের ছেলে শিমুলকে আহত অবস্থায়ও দেখা গেছে।

সরেজমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চোরকে মারধরের আগেই তারা তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে চলে এসেছেন। তবে কারা চোরকে আটক করেছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তাদের বাড়িতে আটক করা হয়নি মর্মে জানান।, তিনি আরও বলেন তাদের বাড়ির সামনে ঘোষের বাড়ির ষ্টেশনের লোকজন এগিয়ে এসে গনপিটুনি দিলেই চোর নিহত হন।

এদিকে সাতকানিয়া থানা এলাকায় ছদ্মবেশে নিহত চোরের কোন স্বজন আসে কীনা সেই বিষয়ে অনুসন্ধান চালালোও চোরের কোন স্বজনের তথ্য প্রতিবেদকের হাতে আসেনি।
অপরদিকে এত বড় ঘটনা ঘটেছে এই বিষয়ে স্থানীয় কেউ শুনেছে কী না তদন্ত করলে স্থানীয় মুসলিম পাড়ার একাধিক বাসিন্দা এই প্রতিবেদককে জানান এই ঘটনার বিষয়ে তো এই প্রথম শোনলাম।

নিহতের বিষয়ে সাতকানিয়া থানার ওসি তদন্ত আবুল কালাম বলেন-নিহতের পরিচয় বের করার চেষ্টা চালাচ্ছি এবং উর্ধতনকর্মকর্তার সাথে আলাপ করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চমেক এ প্রেরণের কাজ প্রক্রিয়াধীন।

সাতকানিয়া সার্কেলের এ্যাডিশনাল এসপি শিবলী নোমান বলেন-ঘটনায় হত্যা মামলা এবং চুরি মামলা দুটোই হবে তবে চুরির ঘটনাটা সত্য সামনের দরজার তালা কেটে তারা (চোর)ভেতরে ঢুকে গিরস্তকে আর তার ছেলেকে আহত করেই চুরির ঘটনাটা করে, পরে চোরকে স্থানীয়রা ধৃত করে গনপিটুনি দেয়। আমরা গিয়ে চোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসি ডাক্তার চোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.