ধর্ষণ : ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের ছেলের বিরুদ্ধে এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুরাদ-এ-মওলা সোহেলের আদালতে লিগ্যাল এইডের সহযোগিতায় মামলাটি করেন ধর্ষণের স্বীকার গৃহকর্মীর মা।

মামলায় অভিযুক্ত মো. নিজাম উদ্দীন প্রকাশ নেজাম (৪০), একই উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের একব্যাক্তা পুকুরের পাড় চেয়ারম্যানের বাড়ির মো. আসহাব উদ্দিনের ছেলে। মো. আসহাব উদ্দিন বর্তমান পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা ধর বলেন, গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে মো. নিজাম উদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার গৃহকর্মীর পিতা কৃষিকাজ করেন। অভাব অনটনের সংসারে কন্যা শিশুকে (১৩) পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসহাব উদ্দীনের বাড়িতে গৃহস্থালীর কাজ করতে দেয়। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল (২২ রমজান) রাতে চেয়ারম্যানের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ঘর ঝাড়ু দিতে গেলে আসামি নিজাম ভিকটিমকে জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ভিকটিম সবাইকে জানিয়ে দিবে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এজন্য ভিকটিম কাউকে কিছু জানায়নি। ঈদের পরের দিন চেয়ারম্যানের ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে ভিকটিমের ভাবীর বাসায় গিয়ে কান্নাকাটি করে । ধর্ষণের বিষয়ে ভিকটিমের মা আসামিকে মোবাইল যোগে জিজ্ঞাসা করলে মা’কে হুমকি দিয়ে বলে, আমি চেয়ারম্যানের ছেলে, যদি এই ধর্ষণের বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করস তোর মেয়েকে গুম করে ফেলব। তোদেরকে ভিটা ছাড়া করব। থানা পুলিশ আমার কিছুই করতে পারবে না। বাদি আসামির পিতা চেয়ারম্যানের সঙ্গে ধর্ষণের বিষয়ে যোগাযোগ করলে আসামির পিতা বিচার করবে বলে আজ কাল পরশু করবে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে। ধর্ষণের পর থেকে ভিকটিমের তলপেটে দীর্ঘদিন যাবত তলপেটে ব্যথার কারণে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে ভিকটিম গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.