গায়ের জোরে চবি প্রক্টরকে চাপে রাখতে প্রমাণ ছাড়াই শিবির তকমা, নেপথ্যে কি নিয়োগ/টেন্ডার?

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

গায়ের জোরে ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারের সন্তান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদারকে শিবির তকমা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছে চবি ছাত্রলীগের সাবেক গুটিকয়েক নেতা। কোনো প্রমাণ হাজির করতে না পারলেও জোর খাটিয়ে তারা প্রক্টরকে চাপে রাখতে বিবৃতি দিয়েছে।

খোদ ছাত্রলীগেরই সাবেক এক নেতা এই বিবৃতি নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, কত বড় ধান্ধাবাজির হিসেব নিকেশ থাকলে (প্রক্টরের বিরুদ্ধে দেওয়া) এক বিবৃতি এক দিনের ব্যবধানে চার বার পরিবর্তন হয়।

প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদারের এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, নুরুল আজিম সিকদারের আরেক চাচা শাহজাহান সিকদার বর্তমানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র। তার চাচা আরজু সিকদার উত্তর জেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের তিন দফায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

তার ভাই আল হেলাল পুতুল সিকদার রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আরেক ভাই সাজিদুল আলম সিকদার উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। নুরুল আজিম শিকদারের আরেক ভাই আল মামুন পিনু সিকদার রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তার আরেক ভাই আল যায়েদ সিকদার সম্রাট বর্তমান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে কোন উদ্দ্যেশ্যে প্রক্টরকে শিবির আখ্যা দিয়ে এসব পোস্ট দিচ্ছে তারা, তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে চলছে আলোচনা। কেউ বলছেন, তারা সদ্য বিদায়ী প্রক্টর প্রফেসর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার অনুসারী। রবিউলের ইন্ধনে এসব হচ্ছে কি-না তদন্ত করা উচিত।

এমন প্রশ্নও চাউর হয়েছে, সাবেক প্রক্টর রবিউল কি মনে করেছে এই পদে তিনি ছাড়া আর কেউ আসতে পারবেন না? এই পদে কেউ নিযুক্ত হলেই কি আগের দায়িত্বপালনকারী প্রক্টরের রোষানলে পড়তে হবে?

তবে এসব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে গিয়ে দেখা গেছে, সদ্য সাবেক প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া এখনো প্রকাশ্যে বর্তমান প্রক্টরের বিরুদ্ধে কিছু বলার মত ‘বোকামি’ করেননি। আবার ভেতরে ভেতরে সাবেক নেতাদের কাউকে ইন্ধন দিচ্ছেন কি-না সে প্রমাণও পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অনেকেরই অভিযোগ, নতুন প্রক্টরকে চাপে ফেলে নিয়োগ অথবা টেন্ডারের ভাগ-বাঁটোয়ারার হিসেবনিকেশের সমীকরণ মেলাতে এই কুৎসায় ইন্ধন দিচ্ছে কেউ কেউ। আবার ফেসবুকে নুরুল আজিম সিকদারকে বিবৃতি প্রদানকারীরা শিবির বললেও কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা বলছেন, নুরুল আজিম সিকদার পারিবারিকভাবেই আওয়ামী লীগ। তার পরিবারের অন্তত ১০ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পদধারী। ছাত্রজীবনেও তিনি এলাকায় ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ছাত্রলীগের কোনো পদে তিনি ছিলেন না।

গত ১২ মার্চ সদ্য সাবেক প্রক্টর পদত্যাগের পরপরই মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক নুরুল আজিম সিকদারকে প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যোগদানের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টর জিয়াউল ইসলাম সজল ও মোহাম্মদ ইয়াকুব পদত্যাগ করেন। এছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা নুরুল আজিম সিকদারকে বিএনপি—জামায়াতপন্থী হিসেবে উল্লেখ ফেসবুকে পোস্ট দেন। পদত্যাগ করা দুই সহকারী প্রক্টর ও ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া ছাত্রলীগ নেতারা সদ্য সাবেক প্রক্টর রবিউল ইসলাম ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষক হওয়ার সকল যোগ্যতা থাকা ও নিয়োগ বোর্ডের পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রাখায় ২০১১ সালে তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের ঘনিষ্ঠ মেধাবী ছাত্র নুরুল আজিম সিকদারকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চুড়ান্তভাবে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম দিকে হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রার্থী আওয়ামীপন্থি কি-না তা শতভাগ যাচাই করা হতো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সুপারিশও নেওয়া হতো অলিখিতভাবে। এসব বৈতরণী পার হয়েই ২০১১ সালে মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ বিভাগে যোগ দেন নুরুল আজিম সিকদার।

সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব এলাহীসহ আজকে যারা নুরুল আজিম সিকদারকে শিবির বলছেন তারা তখন কেন বিবৃতি দেয়নি? ১৩ বছর পর নুরুল আজিম সিকদারকে যখন প্রক্টর করা হলো তখন তারা কেন প্রতিবাদী হয়ে জেগে উঠলেন?

তারা বলেন, তাদের ‘মতলব’ আসলে কি তা-ই এখন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের অনেকটা জানা হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক হওয়া থেকে শুরু করে সহযোগী অধ্যাপক হওয়া পর্যন্ত আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একমাত্র সংগঠন হলুদ দলের সক্রিয় সদস্য নুরুল আজিম সিকদারকে হঠাৎ শিবির তকমা জুড়ে দেওয়ার পেছনে কেবল ব্যক্তিস্বার্থই জড়িত, এখানে আদর্শিক কোনো বিষয় নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও মেরিন সায়েন্সের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আকরাম রাসেল দাবি করেছেন, ৯০ দশকে তার উপর হামলার ঘটনায় নুরুল আজিম সিকদার জড়িত ছিল। এই কথা সত্য হলে, ২০১১ সালে যখন এই বিভাগে নুরুল আজিম সিকদার প্রভাষক হিসেবে যোগদা করে তখন কেন আকরাম রাসেল প্রতিবাদ করেনি? আকরাম রাসেল তখন কেন ২০১১ সালে যারা ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিল তাদের এ বিষয় অবহিত করেনি? প্রশাসনকেও কেন অবহিত করেনি? ১৩ বছর পর এসে কেন তার এই প্রতিবাদ? এই প্রতিবাদ কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়?

সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার লক্ষেই তারা বিবৃতি দিয়ে চাপ তৈরি করছে? তাদের কাউকে পদত্যাগকারীরা অর্থায়ন করছে কি-না সেটাও খতিয়ে দেখা জরুরি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একমাত্র সংগঠন হলুদ দলের সদস্য নুরুল আজিম সিকদার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৫—১৯৯৬ সেশনের শিক্ষার্থী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, প্রক্টরের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব এলাহী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে নুরুল আজিম সিকদারকে শিবির কর্মী আখ্যা দিয়ে পোস্ট দেন। মাহবুব এলাহীর এই পোস্ট ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজনকে ফেসবুকে শেয়ার করতেও দেখা যায়।

এরপর সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি—সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে কয়েকজনের নাম দিয়ে একটি বিবৃতির ছবিও পোস্ট দেন তিনি। তবে যাদের পক্ষ থেকে এই পোস্ট দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকেই এই বিবৃতিকে সমর্থন করছে না।

উত্তর জেলা যুবলীগের বর্তমান সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলম বলেন, ‘মাহবুব এলাহীর মত একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যখন নুরুল আজিম সিকদারকে শিবির বলে পোস্ট দেয় তখন আমিও মনে করেছিলাম তা সত্য। পরবর্তীতে আমি রাঙ্গুনিয়া পৌর মেয়র শাহজাহান সিকদার ও রাঙ্গুনিয়া যুবলীগের সভাপতি আরজু সিকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তারা আমাকে জানালেন, নুরুল আজিম সিকদার ছাত্রজীবনের শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। পরে আমি আরও কয়েকজন থেকে জেনে নিশ্চিত হলাম, ফেসবুকে ভুল তথ্যই ছড়িয়েছে। এমন পরিবারের কারও অন্য কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুুক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

নুরুল আজিম সিকদারের বিরুদ্ধে দেওয়া বিবৃতিতে যাদের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকের কাছ থেকে অনুমতিও নেওয়া হয়নি। এই বিবৃতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন অনেকেই। তারা কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করছেন। আর কেউ বিতর্ক এড়াতে এই ‘নোংরামি’তে জড়াতে চান না।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব এলাহীর ফেসবুকে দেওয়া বিবৃতিতে নাম থাকা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক জয়নাল আবেদিন ওই বিবৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘কত বড় ধান্ধাবাজির হিসেবনিকেশ থাকলে এক বিবৃতি এক দিনের ব্যবধানে চারবার পরিবর্তন হয় এবং একজনের সিগনেচার নকল করে তাঁকে না জানিয়ে আবার নতুন করে বিবৃতি দেয়া হয় ওয়াক থু….।’

তিনি ওই বিবৃতির পোস্টে কমেন্ট করেন, ‘আমার নামটি উইথড্র করে নেন দয়া করে।’ অপর একটি পোস্টে এই বিবৃতিতে ‘ফায়দা লুটার বিবৃতি’ আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, চবির পরিস্থিতি নিয়ে আমার আদর্শিক জায়গা থেকে আমি যেকোন অন্যায়, অনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে সবসময়ই প্রতিবাদ করেছি, এখনও করছি এবং ভবিষ্যতেও করবো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আমার/আমাদের নাম ব্যবহার করে কোনো ফায়দা লুটার সুযোগ কাউকে দিইনি, দিবোও না কখনও। আশা করি কোনো ধরনের ফায়দা হাসিলের জন্য আমার নাম/মাথা বিক্রি করবেন না দয়া করে। আমি কোন ধরনের ফায়দা লোটার বিবৃতিতে সম্পৃক্ত নই। যারা আমার নাম ব্যবহার করেছেন দয়া করে আমার নাম সরিয়ে নিবেন। ওভার এন্ড আউট।’

বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য ঘোষিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজে আমি নিজেকে জড়াতে চাচ্ছি না। এগুলো আমার ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এসব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিষয়। বিবৃতিতে ছোট ভাইরা আমার নাম তুলে দিয়েছে। তাদেরতো আমি সহযোগিতা করি সবসময়। এখন যদি আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে বলি, তাহলে তারা ছোট হবে।’

এদিকে নুরুল আজিম শিকদারের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের পক্ষ থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের দাবি, রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ নুরুল আজিম সিকদারের পরিবার। তার আপন দুই ভাই যুবলীগের পদে আছে, ছোট ভাই আছেন উত্তর জেলা ছাত্রলীগের পদে। তার আপন চাচা সাদেকুন নুর শিকদার রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই দফা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯১ সালে রাঙ্গুনিয়া আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। পরবর্তীতে যদিও দলীয় সিদ্ধান্তে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘নুরুল আজিম সিকদার আমার সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। তার পুরো পরিবার রাঙ্গুনিয়ায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বিভিন্ন পদে থেকে তারা সংগঠনকে এগিয়ে নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা যারা তাকে নেতিবাচক কথা বলছে তারা তার পরিবারের বিষয়ে হয়তো জানেন না।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘নুরুল আজিম সিকদার স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যখন ছিলেন তখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম না। তাই তিনি কোন আদর্শের লোক তা আমার জানার সুযোগ নেই। তবে আমি জেনেছে, রাঙ্গুনিয়ায় ওনার গোটা পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল টিপু বলেন, ‘প্রক্টরের দায়িত্ব নেওয়ার পর বড় ভাইদের কেউ কেউ ওনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলছেন, তার স্বপক্ষে যদি প্রমাণ পাই তাহলে আমরাও তাদের সমর্থন করবো। প্রমাণ ছাড়াতো কার বিরুদ্ধে বলা যায় না। আমরা শিক্ষার্ধীদের ন্যায্য দাবি আদায় ও ক্যাম্পাসের শান্তি—শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার স্যারের সহযোগীতা চাই।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পালনে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি—শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রক্টরিয়াল বডিকে নিয়ে আমি সচেষ্ট থাকবো। আর যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, অমূলক।’

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.