সাতকানিয়ায় মহাসড়ক ঘেঁষে পচা তরমুজের পাহাড়!

চট্টগ্রাম সংবাদ প্রতিবেদক:

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। এ মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশের বিভিন্ন স্থানে এখন পচা তরমুজের পাহাড়। সড়কের পাশের পচা তরমুজের স্তুপ নিয়ে রীতিমতো দুর্ভোগে স্থানীয় বাসিন্দারা। পচা তরমুজের দুর্গন্ধে চলাফেরা করা দায় হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিনই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাতকানিয়া রাস্তার মাথার আড়ৎগুলোতে বড় বড় কাভার্ডভ্যান গাড়ি করে তরমুজ আসছে। এসব তরমুজ আনলোড শেষে যেগুলো পচা সেগুলো সাতকানিয়ার কেরানীহাটের উত্তরে খুনি বটতল নামক এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে। ফলে মহাসড়ক ঘেঁষে পচা তরমুজের পাহাড় তৈরি হয়েছে। পাহাড়টি প্রকৃতির তৈরি নয়। কিছু অসচেতন মানুষের তৈরি কৃত্রিম পাহাড়। পচা তরমুজের স্তূপ থেকে চরম দুর্গন্ধের সৃষ্টি হওয়ায় মহাসড়কে চলাচল করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে মহাসড়কের ওই জায়গাটুকুতে দাঁড়াতেই চান না কেউ। দুর্গন্ধ এতটাই তীব্র যে মুখে রুমাল অথবা কাপড় চেপে ধরলেও রক্ষা পাওয়া যায় না।

 

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। তা ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা ছাড়াও মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী, রোগী, দিনমজুর, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যাতায়াত করেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে সড়কের পাশে পচা তরমুজ ফেলায় বিশাল এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে স্তূপ।

স্থানীয়রা আরও জানান, নষ্ট তরমুজের পচা উৎকট গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। দুর্গন্ধের কারণে এদিক দিয়ে কেউ হেঁটে যেতে চান না। বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। চরম হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।

এ মহাসড়কের কাছেই মহি উদ্দিনের বাড়ি। চট্টগ্রাম সংবাদকে তিনি বলেন, এ মহাসড়কের পাশে পচা তরমুজের স্তুপ থাকায় প্রতিদিনই যাতায়াতের সময় নাক চেপে ধরে কয়েক মিনিটের পথ যেতে হয়। দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। 

স্থানীয় বাসিন্দা হাসান বলেন, প্রতিদিনই বাসা থেকে বেড়িয়ে কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে পচা তরমুজের স্তুপের পাশ দিয়ে নাক চেপে ধরে যেতে হয়। নিঃশ্বাস আটকাইয়া রাখতে রাখতে দম বন্ধ হয়ে যেতে চায়। কিছুদিন আগে দুর্গন্ধে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলাম।

কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওচমান আলী বলেন, সোমবার রাতে আমাদের চোখে পড়েছে বিধায় আমরা সবাই চেষ্টা করে নষ্ট মালামালগুলো আবার গাড়িতে লোড করে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছি এবং আড়ৎদারদের প্রথমবারের মতো ডেকে সাবধান করেছি। এরপর‌ একই কাজ যদি আবারও করা হয় তাহলে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, পচা তরমুজের দুর্গন্ধের কারণে দুটি স্কুল, একটি হাসপাতাল ও বাজারে আসা অসংখ্য এলাকাবাসীর চলাচল করতে কষ্ট হয়। ২০/৩০ জন আড়‌ৎদারের কারণে হাজার হাজার মানুষ ও শত শত ছাত্রছাত্রী ও অসুস্থ রোগী কেন কষ্ট পাবে?

একটি নিরাপদ, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে মহাসড়কের পাশে পচা তরমুজ না ফেলতে সাতকানিয়া রাস্তার মাথার আড়ৎদারদের অনুরোধ করেন চেয়ারম্যান ওচমান আলী।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.