বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লাবাহী জাহাজে হামলায় আহত ৪

বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের মালিকাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের কয়লাবাহী লাইটার জাহাজে হামলা চালিয়ে চারজনকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। লুট করে নিয়ে গেছে টাকা ও জাহাজের ক্রুদের মোবাইল ফোন।

রোববার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মাছ ধরার একটি নৌকায় চড়ে ৮-৯ জন সশস্ত্র ডাকাত এভারগ্রিন-৪ নামের লাইটার জাহাজে হামলা চালায়।

জানা গেছে, লাইটার জাহাজটি কুতুবদিয়া চ্যানেলের জলকদর খালের মোহনায় নোঙর করা ছিল।

এমন সময় হঠাৎ দুর্বৃত্তরা হামলায় চালায়। এতে চারজন আহত হন। ভোরে তাদেরকে উদ্ধার করে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বাবুর্চি আবুল বশরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- লাইটার জাহাজের লস্কর আশিকুল ইসলাম, রুম্মন তাজ ও সৌরভ কাজী এবং বাবুর্চি আবুল বশর।

লাইটার জাহাজ এভারগ্রিন-৪ এর মালিক ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসাইন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ১০ এপ্রিল থেকে বাঁশখালী এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য বহির্নোঙরের মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে কয়লা পরিবহন করা হচ্ছে। ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে ডাকাতেরা কুতুবদিয়া চ্যানেলের জলকদর খালের মোহনায় নোঙর করা জাহাজে হামলা চালিয়ে ক্রুদের টাকা ও মোবাইল ফোন লুটে নেয় এবং চারজনকে কুপিয়ে আহত করে।

ক্যাপ্টেন নাজমুল আরও জানান, ডাকাতদের উৎপাতের কারণে কুতুবদিয়া চ্যানেলটি ভয়ানক হয়ে উঠেছে। ডাকাতেরা স্থানীয় বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।

নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মো. খোরশেদ আলম বলেন, কুতুবদিয়া চ্যানেলের জলকদর খালের মোহনায় নোঙর করা জাহাজে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে। ওই চ্যানেল নিরাপদ রাখতে নৌ-পুলিশ কাজ করছে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.