পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
পটিয়ায় ছাত্রলীগের সভাপতি হতে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন এক ছাত্রদল নেতা। উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সন্মেলনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। সভাপতি পদে বায়োডাটা জমা দেওয়া ছাত্রদল নেতা কফিল উদ্দিন কে নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। একটি স্কুল শাখার ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদকের পদে থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে আসার খবরে উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা ।
এদিকে,ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় একজনকে ছাত্রলীগের মতো সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে আসার চেষ্টার নেপথ্যে থাকা নেতাদের নিয়েও চলছে নানা সমালোচনা।
কফিলেন সঙ্গে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত অনেকেই বলেছেন, কফিল কর্তলা স্কুলে পড়ালেখা করার সময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় থাকাবস্থায় স্কুল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হন ।
আগামী ২৩ জুন শুক্রবার তার নিজ এলাকা কাশিয়াইশ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় চলছে আলোচনা সমালোচনা । জানা গেছে, কফিল উদ্দিন কর্ণফূলি উপজেলার এ জে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি এর আগে কর্তলা স্কুলের ছাত্রদলের কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে কফিল সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকা সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, কর্তলা স্কুল ছাত্রদলের কমিটিতে থাকার তথ্য গোপন করে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাদের বিভ্রান্ত করে তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদে বায়োডাটা জমা দিয়েছে। কফিলকে সভাপতি করার জন্য বেশ কয়েকজন নেতা পর্দার আড়ালে থেকে কলকাঠি নাড়ছেন। এ নিয়ে ইউনিয়নের তৃনমুল পর্যায়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে । তাছাড়াও কফিলের নামে পটিয়া থানায় চুরি,ছিনতাই,মারধর, চাঁদাবাজি, তথ্যপ্রযুক্তি সহ মোট ৮ টি মামলা রয়েছে।
উপজেলা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন , ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর খলিল মীর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক এমরান হোসেন জীবনের যৌথ স্বাক্ষরে কর্তলা স্কুল শাখার কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। সেই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. কফিল উদ্দিনের নাম রয়েছে।
এ ব্যাপারে তৎকালীন খলিল মীর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এমরান হোসেন জীবন জানান, কফিল উদ্দিন আমার অনুমোদিত কর্তলা স্কুল ছাত্রদলের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমার হাত ধরেই সে ছাত্রদলের রাজনীতিতে এসেছে। কফিল ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ও সরব ছিলেন। হঠাৎ করে জানতে পারলাম কফিল কাশিয়াইশ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হতে দৌড়ঝাঁপ করছেন। এতে আমরা বিস্মিত হয়েছি। কফিল ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করেনি কিংবা তাকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়নি।
ছাত্রদল হতে হঠাৎ করে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে আসতে চাওয়া কফিল উদ্দিন বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি কোন দিন ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত শাকিল জানান, আগামী ২৩ জুন শুক্রবার কাশিয়াইশ উচ্চ বিদ্যালয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সন্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বেশ কয়েকজন তাদের বায়োডাটা জমা দিয়েছেন। কয়েক জন আমাকে সভাপতি পদপ্রার্থী কফিল উদ্দিনের বিষয়টি অবগত করেছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে যাচাই বাছাই করে দেখব। ছাত্রদলের কেউ ছাত্রলীগের পদে আসার সুযোগ নেই।