নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো.তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, সাতকানিয়ায় এ রকম বন্যা অতীতে কেউ দেখেনি। আগামীতে এরকম হবে না, তা বলা যাচ্ছে না। বন্যা পরবর্তী বিশুদ্ধ পানির সংকট বেড়ে যাবে, মানুষ রোগাক্রান্ত হবে। এজন্য মানুষের পাশে থাকতে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদেরও বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। দুর্যোগ কাটাতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এ দুর্যোগকে সুযোগ মনে করে যাতে কেউ সংকট তৈরি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি সোমবার দুপুরে সাতকানিয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত বিষয়ে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। গতকালও (রোববার) ৫০০ বান্ডিল ঢেউ টিন ও ১৫ লাখ নগদ টাকা বানভাসিদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজও ২০ মেট্রিক টন চাল দেওয়ার ঘোষণা করছি। এছাড়া এস আলমের পক্ষ থেকেও ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
এটা নিয়ে নয়-ছয় করলে হবে না। এ ত্রাণ যদি যথাযথভাবে বন্টন হয়, তাহলে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। বানভাসিদের পুনর্বাসনের জন্য সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা-ঘাটও পর্যায়ক্রমে ঠিক করে দেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরাফাত সিদ্দিকী সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস। বক্তব্য দেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এম. এ মোতালেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনজুমান আরা বেগম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন হাসান চৌধুরী,সাতকানিয়া সার্কেলের এ্যাডিশনাল এসপি শিবলী নোমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাস্টার ফরিদুল আলম, উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার পারভেজ সারোয়ার হোসেন ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন। সভা শেষে বিভাগীয় কমিশনার বাজালিয়া ইউনিয়নে বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।