চেক জাল জালিয়াতি করায় বাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

 

 

 

আ ন ম সেলিম,পটিয়া (চট্টগ্রাম)
চেক জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা চেক ডিজনার মামলা করায় বাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

সোমবার (২৮ আগস্ট) পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম তাররাহুম আহমেদ এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত মকতুল হোসাইনের ছেলে নিয়াজুর রহমান বাদী হয়ে একই উপজেলার কাঞ্চননগর গ্রামের মৃত হাজী রমিজ আহমদের ছেলে মো. রাশেদ কে আসামি করে পটিয়া যুগ্ম ও জেলা জজ আদালতে ৬০ (ষাট) লক্ষ টাকার চেক ডিজনার মামলা করেন। মামলার আসামি মো. রাশেদ চেকটি চুরি করে তার স্বাক্ষর জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মামলাটি দায়ের করেছেন মর্মে দাবি করেন। আসামি মো. রাশেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত চট্রগ্রাম সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে হস্তরেখা বিশারদের মাধ্যমে স্বাক্ষরটি পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য প্রেরন করেন। চট্টগ্রাম সিআইডির হস্তলিপি বিশারদ ও উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল আহাদ চেকে মো. রাশেদের স্বাক্ষরটি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজিত মর্মে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।

গত ৩১ জুলাই পটিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নাজমুল হোসেন চৌধুরী তর্কিত চেকটির স্বাক্ষর জাল জালিয়াতির করা হয়েছে প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেন। বাদী নিয়াজুর রহমান মিথ্যা মামলা করায় আদালত তার বিরুদ্ধে ২১১ সহ একাধিক ধারায় পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

সোমবার (২৮ আগস্ট) আদালতের পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী কানু দে বাদী হয়ে নিয়াজুর রহমানের বিরুদ্ধে পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২১১ সহ আরও কয়েকটি ধারায় মামলা করেন। আদালতের বিচারক বেগম তাররাহুম আহমেদ মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি নিয়াজুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

আসামি মো. রাশেদের আইনজীবী এ্যাড সনজিত শীল জানান, মো. রাশেদের চেক চুরি করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে চেকে স্বাক্ষর দিয়ে করা মামলাটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী করা মামলায় নিয়াজুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
দিয়েছেন।

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.