আদালতের আদেশেও না সরায় উচ্ছেদে গেল এসিল্যান্ড:উদ্ধার সরকারি খাস জমি ২১ একর  

দখলকারীদের থেকে মোটা অংক নিয়ে অবৈধ সংযোগ দেন: ডিজিএম সাইফুল 

সাতকানিয়া- লোহাগাড়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আদালতের আদেশেও সরকারি জমি ছেড়ে না দিয়ে দখল করে রাখায় উচ্ছেদ অভিযান করে সরকারি ২১একর জমি উদ্ধার করলেন সাতকানিয়ার এসিল্যান্ড আরাফাত সিদ্দিকী।
২রা নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে এওচিয়ার ছনখোলা বাঁশখালি সীমান্তের পাশাপাশি দায়ী ইল্লাল্লাহ ট্রাষ্টের পাশে অন্তত ১২টি টিনের ঘর উচ্ছেদ করে আনুমানিক ২১একর সরকারি জমি উদ্ধার করেন।
জানাযায়- চলতি বছরের ২৩শে মে  আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে সাতকানিয়া উপজেলা ভূমি অফিস নিজ থেকে সরকারি জমির দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য একটি নোটিশও করেছিল তবুও দখলকারীরা উক্ত জায়গা ছেড়ে না দিলে আজ উপজেলা ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিকী পুলিশ আনসার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ছালেহসহ পরিষদের সকল চকিদার নিয়ে উচ্ছদ অভিযান চালায়।
উক্ত উচ্ছেদ অভিযানে এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে  অন্তত শতাধিক পুলিশ, আনসার, চকিদারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছেদ অভিযান শেষে এসিল্যান্ড আরাফাত সিদ্দিকী বলেন আমরা ৬মাস আগে বার বার নোটিশ করে এবং সরেজমিনে এসে বলেও গেলাম কিন্তু তারা কথা শোনেনি।
তাই আজ আদালতের নির্দেশমতো উচ্ছেদে নামতে হলো, আমরা উচ্ছেদ করে অন্তত ২১একর  সরকারি জমি উদ্ধার করেছি।
এবং সরকারি জমি উদ্ধারে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ছালেহ বলেন,কথিত সাবেক এক জনপ্রতিনিধির ইন্ধনে এই ঘরগুলি দখল করে রেখেছিলো অবৈধ দখলকারীরা।
এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল ফজল বলেন, আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেও ওরা আমার ওয়ার্ডের ভোটার নয়,ওরা বাঁশখালীরসহ  ভিন্ন জায়গার লোক।
অবৈধ জায়গার কাগজপত্র দেখে সংযোগ দেয়া হয় কিনা প্রশ্নে  সাতকানিয়া কেরানীহাট পল্লী সমিতি সাতকানিয়ার ডিজিএম সাইফুল ইসলাম বলেন,আমি খতিয়ান বুঝিনা তাই সংযোগ দেওয়া হয়েছে তাদেরকে।তারপরেও বৈধ অবৈধ বুঝার সময় আমার নেই কেউ সংযোগ চাইলেই আমি দিব।
এখানে খতিয়ান ছবি চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট কোন বিষয় না।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় যে কাউকে সংযোগ দেয়া হবে।
এদিকে ভুক্তভোগী মো:দেলোয়ার ঙবলেন কেরানীহাট পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আমাদেরকে অবৈধভাবে সংযোগ দেয়ার জন্য ১লক্ষ টাকা করে নিছে।
এবং বাঁশখালীর আনোয়ার থেকে ১গন্ডা জমি আমরা সবাই ৭৫হাজার টাকা করে দিয়ে ষ্ট্যাম্প করে নিছি।
এই সময় তারা সবাই ভিডিও বক্তব্যে কান্নাকাটি করে বলেন আমাদের সহায় সম্বল বেচে লাইন আনছি  ডিজিএম সাইফুল আলমকে টাকা দিয়ে,কারণ কাগজ ছাড়া তাই।
এদিকে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা রুকন উদদীন রুবেল বলেন সরকারি জায়গা দখলের জন্য যদি অযাচিত ভাবে বিদ্যুত লাইন দেয়া হয় তাহলে তা হবে আইন পরিপন্থী।
সরেজমিনে গেলে অনেকেই বলেন সরকারি জায়গা দখলকারীদের মোটা অংক নিয়ে অবৈধ সংযোগ দেন: পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সাইফুল
মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.