কক্সবাজারে মনোনয়নপত্র জমা না নেওয়ায় বিভিন্ন দলের প্রার্থীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

অনলাইন ডেস্ক:

 

নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৫মিনিট পেরিয়ে যাওয়ায় কক্সবাজারে ৫ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেনি। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে ৪ টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ছিলো।

কিন্তু ওই নির্ধারিত সময়ের মাত্র ৫ মিনিট পর উপস্থিত হওয়ায় ৫ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা নেয়নি কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহীন ইমরান।

মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না পারা প্রার্থীরা হলেন, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী আফতাব নূর। কক্সবাজার -২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী মাহমুদুল করিম। কক্সবাজার -৩ (সদর- রামু- ঈদগাঁও) বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি মনোনীত প্রার্থী নুরুল আলম , তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ।

অপরদিকে এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মনোনয়নপত্র জমা না দিতে পারা প্রার্থীরা। কক্সবাজার-১ আসনে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী আফতাব নূর বলেন, ‘আমরা এসেছি ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে। এসে দেখি গেট বন্ধ। ভেতরে নৌকার প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছে। এরপর আমরা জমা দিতে গেলে বলেছে, আর জমা হবে না।’তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে হবে,’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।

কক্সবাজার-২ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী মাহমুদুল করিম বলেন, মহেশখালী থেকে আমার সমর্থক ও প্রস্তাবকারী আসার সময় মাঝপথে ট্রলার নষ্ট হয়ে যায়। যার কারনে আমি নির্ধারিত সময়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারিনি।

কক্সবাজার-৩ আসনে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি মনোনীত আরেক প্রার্থী নূরুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধায় গণমাধ্যমে দেখলাম ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন নির্দিষ্ট সময় বিকেল ৪টা থাকলেও আমরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত জমা নিয়েছি। তাহলে নির্ধারিত সময় বিকাল ৪টা বেজে মাত্র ৫ মিনিট দেরী হলে কক্সবাজারের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান কেন আমাদের মনোনয়ন পত্র জমা নেননি? আমরা অবশ্যই তার সুষ্ঠু তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।নূরুল আলম আরো বলেন, ‘যেখানে নির্বাচন কমিশন চাচ্ছে নির্বাচনে প্রার্থীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি হউক। সেখানে কিভাবে কক্সবাজারের রিটার্নিং কর্মকর্তা এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করে। আমি সংশ্লিষ্ট দায়ী কর্মকর্তাদের মধ্যে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো গোপন এজেন্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য নির্বাচন কমিশন কে আহবান জানাই।’

কক্সবাজার-৩ আসনে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ড. সানাউল্লাহ বলেন, ‘হরতাল অবরোধের কারণে তিনি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ফিরতে দেরি হয়ে যায়। যার কারনে নির্ধারিত সময়ের ২ মিনিট পেরিয়ে যায়। তাই আমি মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারিনি। অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে তিনি অনতিবিলম্বে সকল প্রার্থী কে মনোনয়নপত্র জমা দানের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানান।’

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের বাইরে কারো মনোনয়ন নেয়া হয়নি। কেনো দিতে পারেনি সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।’

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.