ট্রেন দেখতে গিয়ে নিখোঁজ দুইদিন পর সাঙ্গু থেকে লাশ উদ্ধার শিশুর

প্রতিবেশীর সাথে ট্রেন দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর সাঙ্গু নদী থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির নাম মো. আলী হোসেন (৩)। গত রোববার সকালে দোহাজারী পৌরসভার বেগম পাড়া থেকে নিখোঁজের পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাঙ্গু নদীর সাতকানিয়ার খাগরিয়া এলাকা শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

শিশুটির বাবা ট্রাক চালক মো. সাদেক হোসেন বলেন, আমি দোহাজারী বেগম বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসয় থাকি। আমার বাসা থেকে একশ ফুট দূরে রেললাইন। পাশে আবার সাঙ্গু নদী। গত রোববার সকালে প্রতিবেশী কয়েকজন ছেলে আমার আলী হোসেনকে ট্রেন দেখার জন্য নিয়ে যায়। ওই সময় আলী হোসেন হয়তো সবার অগোচরে সাঙ্গু নদীতে পড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে চারদিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। সন্ধান না পেয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছি। এরই মধ্যে গতকাল সকালে সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নের ফৌজদার ঘোনা এলাকায় সাঙ্গু নদীতে শিশুর লাশ দেখে লোকজন ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়। ফেসবুকে দেখার সাথে সাথে খাগরিয়ায় গিয়ে আমি আমার ছেলের লাশ শনাক্ত করি এবং উদ্ধার করে নিয়ে আসি।

সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউল হক চৌধুরী জানান, শিশুটির লাশ সাতকানিয়ার খাগরিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার হলেও তার বাড়ি চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভা এলাকায়। আবার শিশুটি নিখোঁজ হয়েছিল দোহাজারী থেকে। ঘটনাস্থল চন্দনাইশ হওয়াতে আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নাই। এছাড়া নদীতে লাশ দেখার খবর পাওয়ার পরপর তার বাবা উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই বিল্লাল হোসেন জানান, শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর চন্দনাইশ থানায় একটি ডায়েরি করেছিল। গতকাল সকালে সাতকানিয়ার খাগরিয়া এলাকা থেকে তার বাবা লাশ উদ্ধার করে দাফন করে ফেলেছে। এছাড়া শিশুটির মৃত্যুর বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কারো বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ নাই।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.