লোহাগাড়ায় হত্যা মামলার আসামিসহ ২ জন গ্রেফতার

লোহাগাড়া প্রতিনিধি

লোহাগাড়ার চুনতি লম্বাশিয়া এলাকার আবু জাহেদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি এলজি-কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে লোহাগাড়া থানার চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক এসআই জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদ ভিত্তিতে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ লম্বাসিয়া-আজিজনগর সড়কের লম্বাসিয়া বালু মহাল হতে ৫০০ গজ দক্ষিণে পাহাড়ের রাস্তায় অভিযান পরিচালনা করে জাহেদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ রায়হান (৩৩) ও মো: জয়নাল উদ্দিন (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় রায়হানের ডান হাতে থাকা একটি বাজারের সাদা প্লাষ্টিকের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ১টি দেশীয় তৈরি এলজি ও ১ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তার সাথে থাকা জয়নাল উদ্দিনের দেহ তল্লাশি করে দিয়েছি প্যান্টের পকেট থেকে ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এলজিসহ গ্রেফতারকৃত মোঃ রায়হান উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সিকদার পাড়ার মৃত আব্দু শুক্কুর প্রকাশ বান্টুর ছেলে ও চুনতি লম্বাশিয়া এলাকার কৃষক আবু জাহেদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি, তাঁর বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

কার্তুজসহ গ্রেফতারকৃত অপর আসামি মোঃ জয়নাল উদ্দিন উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড নাজির পাড়ার মোঃ আব্দুল্লাহর পুত্র।

এলাকাবাসীরা জানান, ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার পথে চুনতি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সাতগড় নয়াপাড়ার মৃত সাহাব মিয়ার পুত্র কৃষক আবু জাহেদকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন আবু জাহেদের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে।

মামলায় স্থানীয় মোহাম্মদ হারুন, মোহাম্মদ জাহেদ, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ রায়হানকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি বিকেলে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আবু জাহেদ। এরপর থেকেই তাঁরা পলাতক ছিলো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রায়হান চুনতি লম্বাশিয়া এলাকার বালু মহাল নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো। এসব অবৈধ অস্ত্র দিয়ে বালু ব্যাবসায় আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হতো।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও কেন্দ্র দখল করার জন্য এসব অস্ত্র ও গুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল, পথিমধ্যে পুলিশের তৎপরতার কারণে তাঁরা এলজি ও কার্তুজসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।

লোহাগাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এলজি ও কার্তুজসহ হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি রায়হানসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে, নির্বাচনে কোন ধরনের অস্ত্রের ঝনঝনানি চলতে দেওয়া হবেনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে আছি আমরা।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.