অর্থ আদায়ের অভিযোগ : চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তিচ্ছু ও নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগের একাংশ।

সোমবার (১৩ মে) কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পোস্টার ব্যানার পোড়ায় ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কলেজে ভর্তি হতে প্রয়োজন এমন ২০ টাকা দামের একটি খাম দিয়ে ১০০ টাকা নিচ্ছিল ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের লোকজন। এমনকি কলেজে নিয়মিত ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশনেও অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

মিছিল থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। একপর্যায়ে কলেজের ছাত্র-প্রতিনিধির রুমে থাকা সভাপতি মাহমুদুল করিমের ছবি ও ব্যানার খুলে নেয় নেতাকর্মীরা। এসময় অভিযুক্তদের ছবি পুড়িয়ে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, ‘স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় কাগজপত্র জমা দিতে শিক্ষার্থীদের খামের প্রয়োজন হয়। ২০ টাকার সেই খাম ১০০ টাকায় শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন সুভাষ মল্লিক ও তার অনুসারীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করায় কয়েকজনকে মারধরও করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, ‘আমাদের কমিটি হয়েছে দীর্ঘদিন। আমরা নিজেরাই এ কমিটি বিলুপ্ত করার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু এ নিয়ে কিছু নেতার ইন্ধনে পরিস্থিতি ঘোলাটে করা হচ্ছে। এসব যারা করছে তারা ছাত্রলীগের ষড়যন্ত্রকারী, জামায়াত-বিএনপির দোসর।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তার একটিও যদি প্রমাণ করা সম্ভব হয়, তাহলে ঊর্ধ্বতনরা যে ব্যবস্থা নেবেন মাথা পেতে নেবো। মূলত চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির প্রাক্কালে এমন অভিযোগ তুলে আমাদের বিতর্কিত করা হচ্ছে।’

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.