ঢাকা: ১২জনে মিলে গণধর্ষণ করছে এক গার্মেন্টস কর্মীকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেওড়াপাড়ায় এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর বান্ধবীর অভিযোগ, ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল রুমে নিয়ে তাঁর বান্ধবীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কাফরুল থানায় মামলা করেন ওই নারী।

গতকাল সোমবার রাতে সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় বিদেশি মদ ও ফেনসিডিল। আটক করা হয় এক কর্মীকেও।

ভুক্তভোগী নারী নারায়ণগঞ্জের এক গার্মেন্টস কর্মী, যিনি বিদেশ যেতে আগ্রহী ছিলেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে স্বজনদের নিয়ে তিনি রাজধানীর কাফরুল থানায় অভিযোগ করেন।

স্বজনদের দাবি, কয়েক মাস আগে সাগর নামে এক ব্যক্তি মালয়েশিয়ার ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই নারীর কাছ থেকে প্রায় এক লাখ টাকা নেন। তবে দীর্ঘদিনেও ভিসার ব্যবস্থা না করায় তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। টাকা ফেরত চাইলে সাগর নানা টালবাহানা শুরু করেন। পরে শেওরাপাড়ায় এক ভবনে ডেকে নিয়ে ওই নারীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।

অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযানে গেলে ভবনের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বাইরে জিম ও শপিং সেন্টারের আড়ালে থাকা কয়েকটি গোপন কক্ষের সন্ধান মেলে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় গ্রিল কেটে ও দরজা ভেঙে এক অভিযুক্তকে আটক করা হয়। সেখানে মদ ও ফেনসিডিলের বোতলও উদ্ধার করা হয়েছে।

ভবনের এক কেয়ারটেকার জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে অনৈতিক কার্যকলাপ চলছিল। তবে অভিযান চলাকালে রহস্যজনক ফোন আসতে থাকে, এবং পুলিশের আচরণ বদলে যায়। তারা অভিযান শেষ না করেই তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এবং গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যান।

ভুক্তভোগীর বান্ধবী বলেন, ‘আমার বান্ধবী অনেকবার রুম থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেও পারেনি। বারবার বলা হচ্ছিল এ রুম থেকে বের হলে আমার বান্ধবীকে ওরা মেরে ফেলবে। পরে অনেক চেষ্টার পর সেখান থেকে আমার বান্ধবী বের হয়েছে।’

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.