চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় কক্সবাজারগামী সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে চট্টগ্রামগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন। হতাহত সবার পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে লোহাগাড়া থানার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সাতকানিয়া উপজেলার ভেলিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. ছাত্তারের ছেলে মো. সিদ্দিক (১৮), লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের আঁধার মানিক এলাকার আলমের ছেলে রিফাত হোসেন (১৭), একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরাফাত (২২), নুরুল ইসলামের ছেলে নাজিম উদ্দীন (৩০) ও সুখছড়ি মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা আমির হোসেনের ছেলে জিসান হোসেন অপু (১৮)।
আহতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বারদোনা গ্রামের নুরুল কবিরের ছেলে মো. রবিউল আলম (২৫), একই এলাকার পেটান সওদাগরের ছেলে মো. আবুল কাশেম (৫০), একই উপজেলার ইসলামনগরের বাসিন্দা মাহবুবুল আলমের ছেলে মো. জসিম (২১), সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ইসহাকের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (১৭), একই এলাকার আবদুল আলামের ছেলে মো. আসিফ, একই উপজেলার হাজারখীল গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে মো. মানিক, দক্ষিণ ডেমশা এলাকার মো. জাকারিয়ার ছেলে মো. এহসান, দুর্লভের পাড়ার বাসিন্দা আবদুর রহিমের ছেলে সোহান (১৭) ও লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের আঠারগলি এলাকার বাসিন্দা মো. ইসমাইলের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২১)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল ৮ টার দিকে চট্টগ্রামগামী ঈগল পরিবহনের চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা সৌদিয়া পরিবহনের বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ দূর্ঘটনায় ১৪ জন গুরুতর আহত হন।
পরবর্তীতে আহতদের লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়াও এ দুর্ঘটনায় আহত ৯ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরঞ্জন চাকমা খবরের কাগজকে বলেন, দূর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি হাইওয়ে থানার হেফাজতে রয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক।