নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ডলু নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চলছে প্রকাশ্য দিবালোকে বালু উত্তোলন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ বালু দিয়ে আশপাশের বিভিন্ন বাড়িঘর ও নতুন প্লট ভরাট করা হচ্ছে। কিন্তু এই বালু উত্তোলনের কোনো অনুমোদন নেই, নেই প্রশাসনের কোনো নজরদারিও। ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে, বাড়ছে নদীভাঙনের ঝুঁকি।
স্থানীয়দের দাবি, দিনের বেলায় মাঝেমধ্যে উত্তোলন কম করা হলেও ভোররাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ড্রেজার অবিরত চলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, মেশিন বন্ধই থাকে না। মনে হয় সবাই জানে, কিন্তু ব্যবস্থা নেয় না।
ডলু নদী সাতকানিয়া অঞ্চলের বর্ষায় পানি নেমে যাওয়ার প্রধান পথগুলোর একটি। নদীর তলদেশ কাটাছেঁড়া হলে বর্ষায় পানি প্রবাহে সমস্যা হয় এবং স্রোত পাশের বসতভিটার দিকে আঘাত করে।
কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, ইতোমধ্যে নদীর দুই পাশে ভাঙনের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় এক কৃষক বলেন, নদীর পাড়ে আমাদের ক্ষেত। এখন থেকেই মাটি সরে যাচ্ছে। বালু তুললে এবার বর্ষায় বড় ক্ষতি হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ড্রেজার বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যবসা চালাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে কিছু বহিরাগতও জড়িত। প্রতিদিন কয়েক হাজার ঘনফুট বালু তোলা হচ্ছে, যার বাজারমূল্য লাখ টাকার ওপরে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যারা করছে তারা শক্তিশালী। কেউ মুখ খোলে না। কিন্তু স্কুল, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট সবকিছু ঝুঁকিতে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অবিযান পরিচালনা করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।