সাংবাদিক রোজিনার গলা চেপে ধরা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রস্তুতি

নিউজ ডেস্ক

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তার পরিবার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগম ও কনস্টেবল মিজানসহ আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে রোজিনা ইসলামকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করা হবে।

মঙ্গলবার (১৮ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু এ তথ্য জানান।

মনিরুল ইসলাম মিঠু বলেন, আমার স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয়েছে। তার গলা চেপে ধরা হয়েছিল সচিবালয়ে। তাকে গুম করার উদ্দেশ্যে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়। আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমার স্ত্রীর ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছে এর বিরুদ্ধে আমরা মামলা করব। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগম ও কনস্টেবল মিজানসহ আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে মামলা করব।

এদিকে রোজিনা ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী এ মামলা দায়ের করেন। সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরো কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য রোজিনা ইসলাম কানাডিয়ান অ্যাওয়ার্ডস ফর এক্সিলেন্স ইন বাংলাদেশি জার্নালিজম (২০১১), টিআইবির অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার (২০১৫), পিআইবি ও দুদকের উদ্যোগে দুর্নীতি প্রতিরোধে গণমাধ্যম পুরস্কার বাংলাদেশসহ (২০১৪) বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.