খালেদাকে বিদেশে পাঠাতে ‘বিধিনিষেধ’ প্রত্যাহার চান নজরুল

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম খান।

সোমবার সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ দাবি তোলেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মতোই গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অন্যায়ভাবে কারাগারে আবদ্ধ হয়ে আছেন এবং তিনি অসুস্থ। আমরা তার রোগমুক্তি শুধুই নয়, আমরা তার কারামুক্তি দাবি করি।

“আমরা দাবি করি, বাংলাদেশের যে কোনো মানুষের মতো এবং বহু বহু রাজনৈতিক নেতাদের মতোই তিনিও যেন তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার ‍সুযোগ পান। অন্যায়ভাবে এ ব্যাপারে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেটা যেন প্রত্যাহার করা হয়।”

গত ২৭ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ছয় দিন পর শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে কোরোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

সেদিন থেকে সেখানেই হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা দিচ্ছেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়া ‘হঠাৎ’ জ্বরে আক্রান্ত হন। ৩০ মে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া; সেরে ওঠেন ৯ মে।

দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা দেশ এবং দেশের মানুষ যে দুর্বিসহ অবস্থায় জীবনযাপন করছে। কোভিডের অসহায় শিকারে পরিণত হয়েছে আমরা এর অবসান চাই।”

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তার জীবন-কর্মের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর অনুষ্ঠান হয়।

জাসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, জাসাসের রফিকুল ইসলাম, আহসানউল্লাহ চৌধুরী, লিয়াকত আলী, সানাউল হক, শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, আরিফুর রহমান মোল্লা, ফেরদৌস ফকির, রফিকুল ইসলাম স্বপন, মনজু মিয়া, শামসুল ইসলাম, বাবুল তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

পরে নজরুল ইসলাম খান জিয়াউর রহমানের আলোকচিত্র প্রদর্শনীস্থল ঘুরে দেখেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.