শূন্য থেকে কোটিপতি ভোলার নাসির, স্ত্রীর অভিযোগ ইয়াবা ব্যবসা

সাতকানিয়া প্রতিনিধি:
ইয়াবাসহ অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত করতে না পেরে তালাক দেয়ার জন্য জোর পাঁয়তারা চালাচ্ছে কথিত এক স্বামী সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহার মিঠার দিঘী এলাকার সোয়াজান সিকদার বাড়ির মৃত আব্দুল হামিদের মেয়ে খুরশিদা বেগম তার স্বামী ভোলা জেলার বোরহান উদদীন এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে নাসির আহমদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন। গেল ৮ই জুন (মঙ্গলবার) সকালে সাতকানিয়া থানায় স্বামী নাসির আহমদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী খুরশীদা বেগম। জানা যায়, দীর্ঘ ৫বছর আগে ছদাহার খুরশীদা বেগম স্ক্র্যাপ বেপারী নাসির আহমদকে বিয়ে করেন, কিন্তু সেই অর্থের ভিখারী স্ক্র্যাপ বিক্রেতা ইয়াবা বিক্রি করে কাকতলীয় ভাবে ১০/১২কোটি টাকার মালিক বনে গেলে খুরশিদা বেগমকে রেখে সাতকানিয়া এলাকায় আরো ৩/৪ টি মেয়ে বিয়ে করলে বাধ সাজে পূর্বের স্ত্রী খুরশিদা বেগম। তখনি টাকার গরমে ইয়াবা নাসির স্ত্রী খুরশিদা বেগমকে তালাক দেয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। সর্বশেষ উল্টো খুরশিদা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, নাসির থানার বৈঠকের পূর্ববর্তী মুহুর্ত টের পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহেদ আর নজরুলকে টাকা দিয়ে থানা থেকে বিচার ছদাহা পরিষদে করার অনুরোধও জানান। মূলত থানায় বৈঠক হলে তার এত টাকার উৎস কোথায় এমন প্রশ্ন ওঠার ভয়ে থানায় নিজে অভিযোগ করেও উল্টো পিছপা হন বলে জানায় স্থানীয় আবু তাহের। এদিকে অভিযুক্ত মোঃ নাসির ওরফে ইয়াবা নাসির বলেন, আমি ৫বছর আগে কটকটি ব্যবসায়ী থাকলেও পরে আম ব্যবসা করে ভাগ্য পরিবর্তন হয়। ছদাহা এলাকায় এত সম্পত্তি নিজ নামে কেনার উৎস কোথায় থেকে বললে সে জানায়, আমি দলিলপত্র বুঝি মানুষকে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা চালায়। এদিকে স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃশাহেদ বলেন, কি করে আসলে জানিনা কিন্তু অনেকজন থেকে ৩০লাখ আর ২০লাখ করে করে কয়েক কোটি টাকা সংগ্রহ করে ভোলাতে পাচার করে, তবে আগে কি ব্যবসা করত হুট করে এভাবে আমূল পরিবর্তন তার ইতিহাস জানিনা। তবে স্থানীয়রা জানান, অনেক সম্পদ আর অনেক টাকার মালিক। এদিকে সাতকানিয়া থানার এএসআই মিজান বলেন, নাসির প্রথমে একটা স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে বৈঠকের পূর্ববর্তী সময়ে অদৃশ্য কারণে আবার ছদাহা পরিষদে নিয়ে যাবার কথা বলেছে স্থানীয় নজরুল মেম্বার আর শাহেদ মেম্বারদের মাধ্যমে। পরে থানায় বৈঠক হওয়ার জন্য তার স্ত্রী বাদী হয়ে একটা অভিযোগ করেছে এটা তদান্তধীন। এদিকে স্ত্রী খরশিদা বেগম আরো বলেন, নাসির ইয়াবা মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামী চট্টগ্রামের কোতোয়ালীতে চকরিয়া ফাতেমা নামক এক মহিলা নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলো বড় অংকের টাকার বিনিময়ে আমি তদবির করে বের করেছিলাম ভালো করার উদ্দেশ্যে কিন্তু এখন ভালোর বদলে শিল্পপতি হয়ে অতীতের কটকটি ওয়ালা আমার বিষকাঁটা হয়ে দাড়িঁয়েছে।
মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.