বিনা অপরাধে সাজা খেটে মুক্তি পেলেন মিনু

বিনা অপরাধে প্রায় ৩ বছর সাজাভোগের পর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মিনু। বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন মিনু।

নামের মিল না থাকার পরও কুলসুম আক্তার কুলসুমী নামে এক নারীর পরিবর্তে মিনু কারাভোগ করছিলেন। কোনো কিছুর মিল থাকায় একজনের স্থলে আরেকজন জেল খাটার বিষয়টি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান আদালতের নজরে আনেন।

এর আগে গত ২২ মার্চ গণমাধ্যমে  ‘এক নারীর সাজা খাটছেন অন্য নারী!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি নজরে আসে আদালতের।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত মিনুকে মুক্তির আদেশ দেন।

আদালতের পেশকার মো. ওমর ফুয়াদ বলেন, আদালত মিনুর মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশের কপি কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ  বলেন, হাইকোর্ট মিনুর বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দিলে তার ভিত্তিতে মিনুকে মুক্তির জন্য আদালতে মিনুর আইনজীবীকে বন্ড দিতে বলা হয়।

২০০৬ সালের জুলাই মাসে নগরের কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জের একটি বাসায় মোবাইলে কথা বলা নিয়ে গার্মেন্টসকর্মী কহিনূর আক্তারকে গলাটিপে হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর মরদেহটি একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কিন্তু কহিনূর আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন অপরাধী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে কহিনূরকে হত্যা করা হয় বলে প্রতিবেদন দেন। এতে আসামি করা হয় কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদালত কহিনূর আক্তার হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তবে সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি মিনু ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.