বাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে জোয়ারের পানি, পানিবন্দী কয়েকশ মানুষের ঘরবাড়ি!

বাঁশখালী  প্রতিনিধিঃ বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ও বাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে। জোয়ারের পানিতে ছনুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আলহাজ্ব মৌলভী নজরুল ইসলাম পাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব গ্রামের কয়েক শত পরিবারের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,পূর্ণিমার সময় বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে পানির উচ্চতা অনেক সময় বাড়ে আবার অনেক সময় কমে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকতার চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় বেঁড়িবাধ উপড়ে পানি ভিতরে প্রবেশ করে। সরেজমিনে দেখা যায়, চকরিয়া উপজেলার পেকুয়া -বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া এলাকার দুই উপজেলার সীমান্ত মধ্যবতি স্থানে বঙ্গোপসাগরের সাথে যুক্ত হয়ে জলকদর খাল। উক্ত খালের সাথে মাত্র ২কিলোমিটারের দূরত্বে বঙ্গোপসাগর সাথে মিলিত হওয়ায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকতার চেয়ে বৃদ্ধি হয়। যার কারনে উপজেলার পুঁইছড়ি – ছনুয়া সরলিয়া ব্রীজের উত্তর অংশে ছনুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মৌলভী নজরুল ইসলাম পাড়া এলাকায় জলকদর খালের উপর ১০০ মিটারের মতো বেড়িবাঁধ উপড়ে সেই অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে। জোয়ার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজনকে ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়ে বাড়িঘরে ঢুকতে দেখা গেছে। ছনুয়া এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক লায়ন আমিরুল হক ইমরুল জানান, বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানি পূর্ণিমার জোয়ারে পানির লোকালয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জলকদর খালের উপর বেড়িবাঁধ অনেক অংশে নিচু হওয়ায় বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি ৭/৮ফুট বৃদ্ধি পেয়ে হু হু করে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এই সময় অনেক পরিবারের ঘরের ভিতর সাগরের পানি ঢুকে পড়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জোয়ারের পানি ঠেকানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সকলে মাঠে রয়েছেন। ছনুয়া সহ কিছু কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। এই বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.