নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির বিরুদ্ধে শ্রমিক ভাড়ায় এনে বিক্ষোভ করিয়েছে বহিরাগতরা- এমনটিই দাবি করেছেন বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির আহবায়ক সুলতান মাহমুদ ফয়সাল।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি ফয়সাল আরও বলেন, তারা অছাত্র ও বহিরাগত। তাই তাদের কাছ থেকে সাংগঠনিক আচরণ দূরের কথা রাজনৈতিক শিষ্টাচারও কেউ আশা করে না।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বায়েজিদ থানার
মোহাম্মদনগর, আমিন কলোনি আতুরার ডিপু এলাকায় বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি বাতিল করে মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে ৪৩ নম্বর আমিন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে তারা।
মিছিল শেষে তারা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু এবং সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের ছবিতে আগুন দিয়েও বিক্ষোভ করে।
এ বিষয়ে বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক সুলতান মাহমুদ ফয়সাল চট্টলানিউজকে বলেন, ‘শুক্রবার বায়েজিদ এলাকার শিল্পকারখানা বন্ধ বিধায় কিছু শ্রমিককে নিয়ে অছাত্র, বহিরাগত কমিটির বিরুদ্ধে মিছিল করেছে বলে শুনেছি। তারা গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে নিজেদের নেতা সাজাতে চায়। তাদের কেউই ছাত্রলীগের কেউ নয়। আমি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মী। এসব করে রাজনৈতিকভাবে আমাকে একচুলও টলাতে পারবে না কেউ।’
বিক্ষোভ মিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে পদবঞ্চিতরা বলেন, ‘বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের যে আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে সেই কমিটির অনেকেই অছাত্রত্ব, অনেকেই বিবাহিত, অনেকেরই বয়সে সীমা পার হয়েছে বহু আগে। এ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈনুদ্দিন আজমীর বিবাহিত। কমিউনিটি সেন্টারে ঘটা করে অনুষ্ঠান করে বিয়ে করেছে মাঈনুদ্দিন। তার একটি কন্যা সন্তানও আছে। আবার অনেকেই আছে ইয়াবাসহ মাদকের সাথে জড়িত।’
তারা আরও বলেন, ‘বিবাহিতদের দিয়ে অবৈধ এ পকেট কমিটি আগামীতে বিলুপ্ত ঘোষণা করা না হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। এই অবস্থায় বায়েজিদ থানার বিভিন্ন এলাকা ও ওয়ার্ডগুলোতে থমথমে অবস্তা বিরাজ করছে। যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে সেই দায়ভার নিতে হবে মহানগর ছাত্রলীগকে।’
এ সময় পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তানবীর আহমেদ, এমএন মহিউদ্দিন, রাসেল,সুমন, সোহেল, সাইমন, জহিরুল ইসলাম, জিলানি, ইব্রাহিম, আকাশ রহমান, জিবরান চৌধুরী, সাকিব, মো. মেহেদী হাসান, ইমন, ইমরান মাহমুদ, সাকিব ইমরান প্রমুখ।
এদিকে বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈনুদ্দিন আজমীর বলেন, ‘যারা আমাকে বিবাহিত বলছে কন্যা সন্তানের পিতা বলছে তারা সকলেই মিথ্যাচার করছে শুধু কমিটিতে পদ না পেয়েই। কারণ আমি বিবাহিত নই।’