খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল তার পরিবার। সেই আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। সেই মতামত পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই মতামত পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয় সূত্র সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতে কী বলা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। সূত্রটি বলছে, ‘মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে পরিবারের করা একটি আবেদনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।’

এর আগে, গত সপ্তাহে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মুক্তি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদনটি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, শামীম এস্কান্দারের চিঠিতে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে মুক্তি চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ২৫ মার্চ ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয় সরকার। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় দফায় তার সাজার স্থগিতাদেশ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।

এ বছরের ১৫ মার্চ তৃতীয় দফায় সেই স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয় আরও ছয় মাস। তিন দফা স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। এর আগেই তার পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হলো। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.