সাতকানিয়ার কেরানীহাট অ্যাপেল রেস্টুরেন্টে মরা মুরগি!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভেজাল খাদ্যপণ্যের বিরুদ্ধে যখন দেশের উচ্চ আদালত একের পর এক আদেশ দিয়ে যাচ্ছেন, এমনকি উচ্চ আদালত ভেজাল খাদ্যপণ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহবান জানিয়েছেন। অথচ ভেজাল খাদ্য পরিবেশন করা হচ্ছে নামি-দামি রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে।

এবার সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এ্যাপেল রেস্টুরেন্টে মরা মুরগির মাংস পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। দুর্গন্ধযুক্ত মরা মুরগির মাংস পরিবেশনের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন।

শুক্রবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় দুইজন বন্ধু নাস্তা করতে ওই রেস্টুরেন্টে যান। এ সময় তাদের অর্ডার করা মুরগির মাংস ও রুটি পরিবেশন করে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু খাওয়ার জন্য রুটি ও মাংস মুখে নিলে অন্যরকম স্বাদ পান। এতে তারা বুঝতে পারেন এগুলো মরা মুরগির মাংস। এ সময় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে তারা বিষয়টি অবহিত করলে তারা তা পরিবর্তন করে অন্য মাংস নিয়ে আসেন।

দুই বন্ধুর একজন আহমদ (ছদ্মনাম) বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় আমরা দুইজন এ্যাপেল রেস্টেুরেন্টে খেতে যায়। আমাদের অর্ডারকৃত মাংস মুখে দিয়ে বুঝতে পারি এগুলো মরা মুরগির মাংস। এ সময় হোটেলের সুপারভাইজারকে জানালে সে ওই মাংসগুলো নিয়ে গিয়ে অন্য মাংস নিয়ে আসে।’

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অন্য বন্ধু জানান, ভেজাল খাদ্য বিষয়ে সরকার যেখানে কঠোর সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমা মরা মুরগির মাংস পরিবেশন করছে সাতকানিয়ার কেরানীহাটের এ্যাপেল রেস্টুরেন্ট। তিনি এই রেস্টুরেন্টে নজরদারির জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

জানা গেছে, এই রেস্টুরেন্টে রান্নার কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের ভোজ্যতেল ব্যবহার করা হচ্ছে। এরমধ্যে নিম্নমানের পাম অয়েল, সুপার সয়াবিন তেল দিয়ে খাবার তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া কম টাকায় মরা মুরগি কিনে এখানে রান্না করে পরিবেশন করা হয়। অথচ এসব বিষয়ে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।

অভিযোগ রয়েছে, এখান থেকে প্রতিনিয়ত খাবার খেয়ে এর মধ্যে অনেকেই গ্যাস্ট্রিক, আলসারসহ বদহজমে ভুগছেন। তাই এই রেস্টুরেন্টে সুষ্ঠু তদারকি করে খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

মরা মুরগির মাংস পরিবেশনের বিষয়ে মুঠোফোনে অ্যাপেল রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন।

সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ ওসমানী বলেন, নিম্নমানের তেলে রান্না করা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে মানুষের গ্যাস্ট্রিক, আলসার ও বদহজম লেগেই থাকবে।

তিনি বলেন, কেরানীহাটের অ্যাপেল রেস্টুরেন্টে মরা মুরগির বিষয়টি খাদ্য পরিদর্শকের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.