চট্টগ্রামে এসেছে ১৯ হাজার ২১৮ টন ছোলা

সোহরাব সাহল

রমজানের আগেই চট্টগ্রামে এসেছে ছোলা। রমজানকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে ছোলা আমদানি বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সব চেয়ে বেশি ছোলা আমদানি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আমদানিকৃত বেশিরভাগ ছোলাই এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে।

ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ১৮ হাজার ৯৭৯ টন ছোলা এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। এছাড়া ইউক্রেন থেকে এসেছে আরো ২৩৯ টন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ছোলা আমদানি হয়েছে ১৯ হাজার ২১৮ টন। অথচ বিগত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ছোলা আমদানি হয়েছিল ১৬ হাজার ৬৯২ টন। গতবছরের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ের ২ হাজার ৫২৬ টন বেশি ছোলা আমদানি হয়েছে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আগে থেকেই ছোলা আমদানি শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। যার পরিমাণ অন্য বছর গুলোর তুলনায় বেশি।

তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসেই ১৯ হাজার ২১৮ টন ছোলা খালাস হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। এছাড়া অনেকেই নতুন করে আমদানি অনুমতির আবেদন জমা দিচ্ছে। মার্চে ও এপ্রিলে আরো ছোলা আসবে।

চট্টগ্রামের ছোলা আমদানিকারকদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন বিএসএম গ্রুপ। এ গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর বলেন, ছোলার বাজারের চিত্র গতবছরের তুলনায় এবছর একটু ভাল। বাজারে বর্তমানে পাইকারিতে ছোলা ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে ছোলার দাম বেশি তবুও আমাদের বাজারে ছোলার দাম বাড়েনি।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে সারা বছরের তুলনায় রমজানের চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত ছোলা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ছোলা আমদানি শুরু হয়েছে। রমজান ও তার আগের মাসে ছোলা লাগে প্রায় ৮০ হাজার টন। আর সারা বছর ছোলার চাহিদা থাকে ২ লাখ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন।

তিনি বলেন, এসব ছোলার ৯৯ ভাগ চাহিদাই পূরণ করতে হয় অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করে। এর বাইরে তুরস্ক ও মিয়ানমার থেকেও অল্প পরিমাণে ছোলা আসে। ইন্স্যুরেন্স, জাহাজ ভাড়া, লাইটারিং, বন্দরের চার্জ, গাড়িভাড়া, গুদামভাড়া আনুষঙ্গিক খরচ হিসাব করলে সীমিত লাভ হয় আমদানিকারকের। অনেক সময় লোকসানও দিতে হয়।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.