সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ আ’লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন,
১৯৭৫ এর ১১ই জুলাই ৪৯ হাজার মাদ্রাসা শিক্ষক বাংলাদেশ আ’লীগে যোগদান করতে বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করেছিল। অথচ তার মাত্র একমাস পরে ১৫ই আগষ্ট যখন বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয় তখন কেউ আসেনি। সেদিন তারা শুধু বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি। ২০০৪ সালের ২১ই আগষ্ট তার দুই কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকেও হত্যার মাধ্যমে আ’লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছিল।
তারা সুযোগ পেলেই আ’লীগকে ধংস করে দিতে চায়। বর্তমানে তারা আবার সেই ষড়যন্ত্রের নীল নকশা করছে। আ’লীগের নেতাকর্মীদের এক হয়ে তাদের ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে এবং তাদেরকে ষড়যন্ত্রে কখনো সফল হতে দেওয়া যাবেনা।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আমলে দেশ বার বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। গ্রেনেড হামলা হয়। হাওয়া ভবন হয় এবং অবৈধভাবে দশ ট্রাক অস্ত্র আমদানি হয়। অথচ আ’লীগ সরকারের আমলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পায়। আজকে শেখ হাসিনার হাত ধরে যখন দেশ উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তখন তারা আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।
তারা বলছিল, আমরা হব তালেবান আর দেশ হবে আফগান। তারা দেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। তারা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আ’লীগকে চিরতরে ধংস করে দিতে চায়। আজকে যারা স্লোগানে স্লোগানে মঞ্চ মাতাচ্ছেন, আগামীকাল আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় না থাকলে তাদের কাউকে খুজে পাওয়া যাবেনা। এমনকি আমাদের মত নেতাদেরও নিমিষেই ভাসিয়ে দিবে। সুতরাং আ’লীগকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনাকে বাচিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা বাঁচলে দেশ বাঁচবে দেশের জনগণ বাঁচবে।
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্টানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অবৈধভাবে তৎকালীন সময়ে ১ কোটি ২৩ লাখ ভূয়া ভোটার বানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাদের এই জালিয়াতি ধরা পড়লে সেই অবৈধ ভোটার তালিকা বাতিল হয়। অথচ সেই বিএনপি জামায়াত এখন ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন করে। সমগ্র বিশ্বে এখন ইভিএম এর মাধ্যমে নির্বাচন হয়। কারন ইভিএম স্বচ্চ নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। তেলের দাম বেড়েছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আমাদের মমতাময়ী নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবগুলো বুঝেন এবং তিনি মানুষের কষ্ট উপলব্ধি করেন। কিন্তু এ সমস্যাটি শুধু আমাদের জন্য একার জন্য নয়, সমগ্র বিশ্ব এই সমস্যায় ভুগছে। আরব আমিরাতের মত দেশে তেলের দাম ৭৬ শাতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জার্মান, চীন, অষ্ট্রেলিয়া সব জায়গায় একই আবস্থা। তার কারন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। বিশ্বের ৩ নং তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া। রাশিয়া সারা বিশ্বে অর্ধেক জালানি সরবরাহ করে। কিন্তু যুদ্ধের কারনে এই জালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। তাই সবাই আজকে সাময়িক সমস্যায় সময় পার করছে। তবে এ সমস্যা খুব শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়েও বিএনপি জামায়াত নোংরা রাজনীতির খেলায় মত্ত হয়েছে। দেশের জন্য আ’লীগ যে ত্যাগ করেছে, শেখ হাসিনা যে ত্যাগ করেছে আর কেউ করে নাই। আর কোন দলের উপর এমন অত্যাচার হয়নাই। তার পরেও আমরা তাদেরকে পরাজিত করেছি। এই পরাজিত শত্রু আর ক্ষমতায় আসতে পারবেনা।
এসময় তিনি নেতা কর্মীদেরকে উশৃৃঙ্খল না হয়ে রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানান।
সাতকানিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব সিআইপি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দীন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সভাপতি সাংসদ মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেঃ ড. আবু রেজা মোঃ নিজামুদ্দীন নদভী,এমপি নদভী তার বক্তব্যে বলেন-জামায়াত ইসলামী মুখে কালেমার কথা বল্লেও অন্তরে তারা কালেমা ধারণ করেনা।
আরো বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্থানীয় আ’লীগ ও অংগ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।