নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পৌরসদরে তাহের সিকদার ভবনে ১২ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় সাংবাদিকসহ ৭ জন আহত হয় এবং মোবাইল, চশমাসহ সংবাদ সংগ্রহের মূল্যবান জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
পৌরসদরে অবস্থিত তাহের সিকদার ভবনে মুহাম্মদ মিফতাহুল ইসলাম ভাড়ায় রুম নিয়ে ক্লাসিক কোচিং সেন্টার নামে একটি কোচিং সেন্টার খুলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়িয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। মিফতাহুলের সফলতা দেখে নিকটস্থ সরকারি আলাওল কলেজের আলোচিত ও সমালোচিত শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইন নিজের ঘুম হারাম করে মিফতাহুলের সাথে উঠে পড়ে লাগে! এবং তাকে ঐ রুম গুলো ছেড়ে দিতে হুমকি ধমকি দিতে থাকে কিন্তু মিফতাহুল তার হুমকি ধমকিকে উপেক্ষা করে নিজ কর্ম করেই যাচ্ছিল, যার কারণে উক্ত কোচিং সেন্টারের রুম গুলো বাঁশখালী সরকারি আলাওল কলেজের শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইন বেশি ভাড়া দিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন এবং মালিককে রুম গুলো ভাড়া নেওয়ার প্রস্তাব দেন। সেজন্য মালিকের ছেলে আব্দুর রহিম রুম গুলো খালি করতে মরিয়া হয়ে উঠে এবং ডিসেম্বর মাসের শেষে মিফতাহুল ইসলামকে রুম ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ক্লাসিক কোচিং সেন্টারের মালামাল নিয়ে জোরপূর্বক বের করে দেন। নির্দিষ্ট সময়ের আগে বের হতে অনিচ্ছা পোষণ করলে আব্দুর রহিম মিফতাহুলকে প্রাণ নাশের হুমকিসহ অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে হেনস্তা করে এক পর্যায়ে তাকে কিল-ঘুষি-লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। মিফতাহুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মিফতাহুল পুরো ঘটনা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবকে অবহিত করলে সাথে সাথে সরেজমিনে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাটি বাংলাদেশ প্রেসক্লাবকে জানানোর দায়ে মিফতাহুলকে মালিকের ছেলে আব্দুর রহিম তার কিশোর গ্যাং রডসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
ঘটনার পরের দিন মিফতাহুল বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় এজেহার দায়ের করেন। এব্যাপারে বাঁশখালী থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তোফায়েল আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিঁনি বলেন- বাদীর লিখিত এজেহার পেয়েছি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাঃ আব্দুর রহমান সোহেল উক্ত ঘটনা সমাধান করতে চেষ্টা করলে পুরো টিমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে, ধাক্কা দিয়ে হেনস্তা করে এবং কয়েকজনকে কিল-ঘুষি-লাথি মারে। এসময় বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতির চশমা ভেঙে যায় এবং জুতা ছিঁড়ে যায়, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের মোবাইল ভেঙে ফেলে।
উল্লেখ্য, সরকারি আলাওল কলেজের বিতর্কিত শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইনের বেআইনী কর্ম-কাণ্ডের ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত ) মোঃ আজিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিঁনি বলেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজে কয়েকবার তাকে সতর্ক করা হয়েছে, সে কাউকে পাত্তা দেনা! আপনারা যেখানের সমস্যা সেখানে সমাধান করে নেন।