পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হারুনুর রশিদের আনারস মার্কার সমর্থনে পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ কতৃক আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে অংশগ্রহণ ও নির্বাচনী প্রচারণা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।
শনিবার (২৫ মে) বিকেল পটিয়া কমিউনিটি সেন্টারে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মো. হারুনুর রশিদের আনারস মার্কার সমর্থনে প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইকবালুর রহমান ওপেলের সভাপতিত্বে এবং তারেকুর রহমান ইমনের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পটিয়ার জনগণের মনোনীত আনারস মার্কার প্রার্থী মো. হারুনুর রশিদ। সমাবেশ শেষে পটিয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট আনারস মার্কার পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন নুরুল আজিম রনি।
সমাবেশে প্রধান অথিতি চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনা সকলকে নির্বাচনের সুযোগ দিতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন। এতে নির্বাচন গুলোতে অংশগ্রহণ বাড়ার পাশপাশি নির্বাচনে প্রতিযোগিতাও বাড়ে। ভোটের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে এই নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে হুমকি দিচ্ছেন। বহিরাগত এনে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন এবং পটিয়ায় যারা ত্রাসের রাজত্ব কামেয় করেছে তাদের অর্থ দিয়ে নিজের পক্ষে টেনে নিয়েছেন। মূল কথা নির্বাচনকে প্রভাবিত করে দখল ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে জয়ের লক্ষ্য সকল চেষ্টাই করছেন। কিন্তু পটিয়ার সাধারণ জনতা এবং ছাত্র সমাবেশ পটিয়াকে আর অশান্ত হতে দেবে না এবং শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা পটিয়ায় অব্যাহত রাখতে আমাকে বিজয়ী করবেন এটা আমি আশা রাখি। আমি পটিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলাম, আমার সময়ে ব্যাপক কাজ করেছি। জনতা আমাকেই চায়। তাই আগামী ২৯ মে পটিয়ায় ভোট উৎসবে জনগণ অংশ নিয়ে সন্ত্রাস রুখে দেবে এবং আমাকেই বিজয়ী করবেন।
সমাবেশে নুরুল আজিম রনি বলেন, পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোঃ হারুনুর রশিদ অত্যন্ত সজ্জন একজন ব্যক্তি।প টিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জনগণের ভোটে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে দুবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি শুধু জয়লাভ করেননি বরং তিনি জয়লাভের পর নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন এবং পটিয়াকে নিজ হাতে সাজিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি এই সজ্জন প্রার্থীকে হারানোর লক্ষ্যে একটি গোষ্ঠী উঠে পড়ে লেগেছেন। তারা হারুনুর রশিদের পক্ষে যারা কাজ করছে তাদের হুমকি দিচ্ছেন। হাজী মোঃ হারুনুর রশিদের বিপক্ষের চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চট্টগ্রাম থেকে সন্ত্রাসীদের এনে প্রচারণা করছেন।তারা প্রচার করছেন চট্টগ্রাম এবং পটিয়ার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে ভোট কেন্দ্র দখলের মাধ্যমে হারুনুর রশিদকে পরাজিত করা হবে। আমরা বলতে চাই, শেখ হাসিনা ভোটের যে রাজনীতি চর্চা করছেন তার উদাহরণ আমরা গত জাতীয় নির্বাচনে দেখতে পেয়েছি। অন্য উপজেলাগুলোকে যখন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে তখন পটিয়ায় একটি পক্ষ জয়ের লক্ষ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা বলতে চাইপটিয়ার জনগণ একটি সুষ্ঠ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ব্যালেট বিপ্লবের মাধ্যমে হাজী মো. হারুনুর রশিদকে জয়ী করবেন এবং সন্ত্রাসীদের উচিত জবাব দেবেন।
আরো বক্তব্য রাখেন আকতার হোসেন সৌরভ, আবদুল্লাহ আল তানিম চৌধুরী, রেজাউল করিম রিপন, মেহেদী হাসান, ফয়সাল রফিক, মোরশেদ খান, মোস্তাফা করিম কাওসার, মো. ইদ্রিস, আরিফুর রহমান জিকু, রবিউল হোসেন খোকন।
উপস্থিত ছিলেন মিজানুর রহমান মিজান, এম আর রিদয়, শাহজাদা চৌধুরী, তানভীর মেহেদী মাসুদ, আরিফ হোসেন, ইসমাইল উদ্দিন রুবেল, তারেকুর রহমান, মিজানুর রহমান রহিম, শাহরিয়ার শাহজাহান, মোরশেদুল আলম, জাবেদুল ইসলাম, হায়দার আলী সাদ্দাম, ঐশিক পাল জিতু, ইনজামুল হক ইমু, আরফাত হোসেন, মো জহির, তানভির হোসেন, নাঈম উদ্দিন সাফাত, মিনহাজ তালুকদার, আরশাদ মিশন, সাফায়েত নেওয়াজ রোকন, নেজাম উদ্দিন, শওকত হোসেন, আরিফুল ইসলাম সুমন, মো. তারেক, মো. ইশরাক, মিজানুর রহমান ইমন, আব্দুল মতিন, চৌধুরি আলিফ, চৌধুরী মানিক, রবিউল ইসলাম রবি, ছাত্রলীগ নেতা সাফায়েত ফাহিম, আরিফুল ইসলাম আরিফ, জালাল উদ্দিন জুবায়ের, রিফাত হোসেন, মো: সাকিব, শোয়েব, অভিজিৎ দাশ সৌরভ, ওমর ফারুক কায়সার, রবিউল হাসান, শাকিল, আলী আজম ওয়াসী, আদনান, হাবিব, সেনগুপ্ত পলাশ, আমজাদ, নিশান, মো. মাসুম, আরমান, আরশাদ হোসেন, শাহেদ খান, আলভি, রেজাউল, করিম, মহিব, ইমতিয়াজ প্রমুখ।