চট্টগ্রামের চালের বাজার নির্ভরশীল উত্তরবঙ্গের উপর। এবার ভরা মৌসুমেও নতুন চালের দেখা নেই চট্টগ্রামের চালের মোকাম খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলীতে। উত্তরবঙ্গ থেকে এখনো আসছে পুরনো মজুতের চাল। নতুন চাল মজুত করছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ভরা মৌসুমেও বাজারে চালের সরবরাহ না বাড়ায় চট্টগ্রামের পাইকারী বাজারে আগের চেয়ে বস্তাপ্রতি দুই থেকে আড়াইশ টাকা বেড়েছে চালের দাম। পাকা ধান ঘরে তোলার মৌসুম শুরু হলেও চলতি সপ্তাহে দাম কমার কোনো লক্ষণই নেই।
ব্রি- ২৮ চালের গত মাসের মূল্য ছিল ২৭০০ টাকা। এটির বর্তমান মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৯০০ টাকায়। স্বর্ণা ২৫০০- ২৮০০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন পাওয়া যাচ্ছে ২৬৫০-২৯০০ টাকায়। মিনিকেট ছিল ৩৩০০ টাকা। বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৩৪৫০ টাকায়। মোটা সিদ্ধ চাল ছিল ২৭০০ টাকা। এখন গুণতে হচ্ছে ৩০০০ টাকা। নাজিরশাইল চাল গত মাসে পাওয়া যে ৩৬০০ টাকায়। এই মাসে দাম দাঁড়িয়েছে ৩৭৫০ টাকায়। কাটারি আতপের দাম ছিল ৩৮৫০ টাকা। এই মাসে হয়েছে ৪১০০ টাকা।
পাইকারী বাজারের এই বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। চালের বাজারের এই উর্ধগতিতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সিন্ডিকেট বলতে কিছু নেই জানিয়ে পাইকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, উত্তরবঙ্গ থেকে সরবরাহ না বাড়ায় চলের বাজার উধ্বমূখী।
এদিকে চাল ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আমদানিতে নানা বাধ্যবাধকতা, ব্যাংকে অস্থিরতার চাল আমদানিতে অনীহা তাঁদের। তাই চাল আমদানির প্রচুর অনুমোদন নিলেও আমদানি হয়েছে অনেক কম। একইসাথে বড় কর্পোরেট হাউস গুলো বিপুল পরিমান চাল নিজেদের কব্জায় নিয়ে যাওয়ায় বাজারে সংকট থেকেই যাচ্ছে।
চালের আমদানি শুল্ক ১৫শতাংশের পাশাপাশি রেগুলেটরি শুল্ক ৫শতাংশ নির্ধারিত ছিল।পহেলা নভেম্বর দুই শতাংশ অগ্রিম আয়কর রেখে সরকারি আদেশে শুল্ক প্রত্যাহর করা হলেও তার কোন প্রভাব নেই বাজারে।