বান্দরবানে হেলিকপটারের ছিটাল ৫ লাখ গাছের বীজ 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ও বিমানবাহিনীর হেলিকপটারের সাহায্যে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সাংগু ও মাতামুহুরী বন সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে হেলিকপটারে মাধ্যমে বীজ ছিটানোর কার্যক্রম মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) শুরু করেছে বন বিভাগে।

দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রাকৃতিক বনাঞ্চল বান্দরবানের সাংগু ও মাতামুহুরী রিজার্ভ বন রক্ষায় হেলিকপটারের মাধ্যমে চাম্পাফুল, পুঁতিজাম, ঢাকিজাম, কালোজাম, গামার, করই, জারুল, হারগাজা ইত্যাদি বিলুপ্তপ্রায় ৩০ প্রজাতির ৫ লাখ গাছের বীজ ছিটানো কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের বান্দরবান রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক, এএফডব্লিউসি, পিএসসি এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য জীববৈচিত্র্য দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণিবৈচিত্র্যের অনেক প্রজাতি ইতোমধ্যে পরিবেশ থেকে হারিয়ে গেছে। বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী বিরল তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এ ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে বৃক্ষ ও বনাঞ্চল। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সর্বোপরি দেশের উন্নয়নের মূলধারা অব্যাহত রাখতে হলে ব্যাপক হারে বনায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা জরুরি।

এ সময় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মেদ আব্দুল আউয়াল সরকার, বান্দরবান বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা, লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চারসহ সেনাবাহিনী, বন বিভাগ ও সরকারি বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানান, বিট্রিশ আমলের পর এই প্রথম রির্জাভ বন এলাকা রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রিজার্ভ বনের যেসব এলাকায় গাছের সংখ্যা কম, সেসব এলাকায় হেলিকপটার থেকে বীজ ছিটানো হয়েছে বলে বন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, পরিবেশ বিপর্যয়, চোরাকারবারির উৎপাত, অপরিকল্পিত জুমচাষসহ নানা কারণে প্রাকৃতিক এই রিজার্ভ ফরেস্ট এখন অনেকটাই উজাড় হতে বসেছে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.