পশ্চিম আমিরাবাদে ঝুঁকি নিয়ে কাঠ- বাঁশের সাঁকোতে পারাপার, ব্রিজের দাবী স্হানীয়দের

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চলাচলে বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় শুধু বয়স্করা নন বরং শিশু সন্তানেরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার করছে কাঠ-বাঁশের তালি-জোড়া তৈরিকৃত নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে।রাঁতের বেলায় প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা । পাকা ব্রিজ স্হানীয়দের ভাগ্যে নেই।যেহেতু সামান্য ব্যবধানে রয়েছে পাকা ব্রিজ। সেহেতু ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার বিধায় এ’সাঁকোই খাল পারাপারে দু’কূলবাসীর একমাত্র ভরসা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।এমনকি দীর্ঘদিন দিয়ে এসব ঝুঁকিপূর্ণ নড়বড়ে কাঠ-বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ চলাচল করলেও ব্রিজ নিমার্ণ করতে সংশ্লিষ্টদের নেই কোন উদ্যোগ।

জানা যায়, ডলু খাল খরস্রোতা। বছরের পুরো সময় খালে কম-বেশী পানি থাকে। খালের পূর্বপার্শ্বে লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের অংশ এবং পশ্চিম পার্শ্বে সাতকানিয়া উপজেলার ও সোনাকানিয়া ইউনিয়নের গারাঙ্গীয়া অংশ।খালের উভয় পাড়ের বাসীন্দারা খাল পারাপারে ব্যবহার করে বর্ষাকালে নৌকা এবং গ্রীষ্মের খরা মৌসুমে নির্মাণ করে তালি-জোড়া দেয়া কাঠ-বাঁশের সাঁকো। খাল পারাপারের সুবিধার্থে স্থানীয়রা স্ব-উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে এ’সাঁকো নির্মাণ করেন। ফলে, খরা মৌসুমে খাল পারাপারে সুবিধা ভোগ করেন উভয় কূলের অসংখ্য জনগণ।স্থানীয়রা আরো জানিয়েছেন, এলাকার আবাল,বৃদ্ধ-বণিতা সবাইকে ওই ব্রিজ দিয়ে খাল পারাপার করতে কষ্ঠের সম্মুখীন হতে হন। বর্ষাকালে বারবার ভেড়িবাঁধ তথা যাতায়াত সড়কটির একাধিক স্থানে বিধ্বস্ত হওয়ায় উক্ত পাকা ব্রিজ দিয়ে উভয় কূলবাসীদের খাল পেরিয়ে নিজ এলাকায় পৌঁছতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।বিশেষ করে এ’এলাকার পূর্ব ও পশ্চিম কূলবাসীরা এ’দুর্ভোগের শিকার হন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করার সময় উক্ত বাঁশের সাঁকোটি উক্ত প্রতিনিধির দৃষ্ঠিগোচর হয়।ওই সময় আমিরাবাদ ২নং ওর্য়াড়ের ইউপি সদস্য সারফু সিকদার জানান,এ’স্থানে উভয় কূলের বাসীন্দারা স্বল্প সময়ে ও সহজভাবে খাল পারাপার করে নিজ নিজ গন্তব্যস্থানে পৌঁছার জন্য স্ব-উদ্যোগে ও নিজেদের অর্থ ব্যয়ে জনস্বার্থে এ’বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।তবে দক্ষিণ দিকে অথার্ৎ এর অদূরে খালের উপর আর একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ হওয়ায় এখানে ব্রিজ নেই। এছাড়া তিনি আক্ষেপ করে বলেন এধরণের বাঁশের ‘সাঁকো ব্রিজ না হওয়ার পিছনে বিশেষ করে রেলের ভূমি অধিগ্রহন ও নিমার্ণ কাজকে দুষলেন।এ ব্যাপারে এমপি মহোদয় ও ইউএনও মহোদয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছেন বলে জানান।

একই প্রসঙ্গে পূর্ব কূলবাসী মোঃ হেলাল উদ্দীন বলেন, খালের উপর নির্মিত পাকা ব্রিজটি তাঁদের এলাকা থেকে কিছু ব্যবধানে। বিধ্বস্ত ভেড়িবাঁধ তথা সড়ক দিয়ে ওই স্থানে গিয়ে খাল পারাপার তাঁদের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বিশেষ করে শিশু সন্তানদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেহেতু সেখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মিত হয়েছে, সেহেতু তাঁদের ভাগ্যে এ’স্থানে পাকা ব্রিজ জুটবেনা। এরপরও সদাশয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ’স্থানে খাল পারাপারের জন্য স্বল্প ব্যয়ে একটি ব্যবস্থা করে দিলে এলাকাবাসী বিশেষভাবে উপকৃত হবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম ইউনুস জানান,এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং তাঁরা পরিদর্শনে এসেছে। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.