আফগানিস্তান: মাদকের দেশে মাদকের বিরুদ্ধে একা লড়াই করছেন যে নারী

সারা বিশ্বে অবৈধ আফিম ও হেরোইনের ৮০ শতাংশেরও বেশি আসে আফগানিস্তান থেকে। বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধ এবং আইন শৃঙ্খলার অভাবের সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রগুলো দেশটিতে এসবের উৎপাদন বিস্তৃত করেছে। কিন্তু অনিশ্চয়তার কারণে দেশটির ভেতরে দারিদ্র এবং মাদকাসক্তিও নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে।

মাদকাসক্ত লোকজনকে নেশার জগত থেকে ফিরিয়ে এনে তাদেরকে সমাজে পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছেন এক আফগান নারী- লায়লা হায়দারি। তার ভাই হঠাৎ করেই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ার পর তিনি এজন্য একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।

লায়লার ভাই হাকিমের স্ত্রী তাকে প্রথম তার ভাই-এর আসক্ত হয়ে পড়ার খবরটি দেন। এরকম আকস্মিক খবরে তিনি স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। হাকিমের আসক্তির কারণে পুরো পরিবারটিই দিশেহারা হয়ে পড়েছিল।

এর পর ২০১০ সালে রাজধানী কাবুলে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তোলেন লায়লা হায়দারি। আফগানিস্তানে এটিই প্রথম বেসরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্র।

তিনি জানান, হাকিমের আসক্তির কথা তিনি তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের কাছে গোপন রাখতে চেষ্টা করেছিলেন।

“এটা লজ্জার বিষয়। জানাজানি হলে আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ হতো। কিন্তু এর পর হাকিমের স্ত্রী আরেকদিন ফোন করে বললো যে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে- হাকিম নাকি এখন বাড়িতেই মাদক গ্রহণ করছে।”

লায়লা হায়দারি তার ভাই-এর বাড়িতে ছুটে গেলেন। তাদের তিনটি ফুটফুটে মিষ্টি মেয়ে। তিনি দেখলেন তার ভাইসহ আরো যেসব কাজিন আছে তারা সবাই একসঙ্গে মিলে বাচ্চাদের সামনেই ড্রাগ নিচ্ছে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.