সাতকানিয়ায় রাজাকারের উত্তরসূরীদের দখলে আওয়ামী নেতৃত্ব!

সাতকানিয়া প্রতিনিধি: সাতকানিয়ায় আওয়ামীলীগের নৌকার মনোনয়ন চান এবার জামায়াত,হাইব্রীট, বিতর্কিত,ভুমিধস্যু একাধিক ডাকাতি মামলা,একাধিক হত্যা মামলাও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে নেগেটিভ থাকা রাঘব বোয়ালসহ রাজাকার বংশের অনেকেই। এমন কী সাতকানিয়ায় ২০১৪,২০১৫সালে টাকার বিনিময়ে আওয়ামীলীগে নতুন ভাবে সদস্যপদ লাভ করে ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার টিকেটে চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ার ইতিহাসও কম না। আওয়ামীলীগের দলীয় হাইকমান্ড বার বার নব্য এবং রাজাকার বংশের উত্তরসূরীও বিতর্কিতদের মনোনয়ন দেয়া হবেনা বল্লেও সাতকানিয়ায় কোন ভাবেই সেটা মানা হয়নি গতবারের ইউপি নির্বাচনে। এখন বিশিষ্টজনদের ধারণা নতুন বোতলে পুরাণ মদের মতই হবে এবারেরও নির্বাচনী খেলা। সাতকানিয়ায় বহাল থাকা বিতর্কিত আর নব্য আওয়ামীলীগ যারা গত ইউপি নির্বাচনে অর্থের জোর আর লবিং জোরে মনোনয়ন পেয়েছিলো তারাই আবারো আসীন থাকবে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে। সাতকানিয়ার সচেতন নাগরিক মহল জানান,সদ্য ঘোষিত সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কর্তৃক রাজাকার তালিকা ঘোষনা করার পরেও সেই তালিকার অনেক রাজাকার উত্তরসূরীরা আওয়ামীলীগের মূল নেতৃত্বে আছেন পাশাপাশি আওয়ামীলীগের টিকেটের চেয়ারম্যান পদেও আসীন আছেন তাদের বেশ কয়েকজন। সচেতন মহল আরো জানান, রাজারকার উত্তরসূরীদের এবং বিতর্কিতদের যদি দলের হাই কমান্ড সত্যি সত্যি মনোনয়ন না দেন তাহলে নলুয়ার বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান তসলিমা আবছার মনোনয়ন পাবেননা, কারণ তার আপন দাদা মৃত আলী আহমদ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতকানিয়া উপজেলা শাখার হালনাগাদ তালিকার ১৩নাম্বারে আছেন, আর ওই তালিকা প্রণয়ন করেছেন স্বয়ং সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আবু তাহের এলএমজি আবু তাহের। এদিকে আবার অনেকেই বলেন নলুয়ার বর্তমান চেয়ারম্যান রাজাকার উত্তরসূরী হলেও তসলিমার স্বামী নিহত প্রফেসর আবছার ছিলেন দাপুটে সাতকানিয়া উপজেলা যুবলীগনেতা সেদিক দিয়ে হয়তো তাই আবারো মূল্যায়িত হতে পারেন যা অসম্ভব কিছুই না। আশ্চার্যজনক বিষয় হলো চেয়ারম্যান তসলিমা আব্ছারের ওয়ার্ডে আরো একজন রাজাকার পুত্র নৌকার মনোনয়নের জন্য মরিয়া, তিনি অবশ্যই নলুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বেও রয়েছেন নাম মাষ্টার মো-দেলোয়ার। তিনিও সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক প্রণীত রাজাকার তালিকায় ১০নাম্বারে থাকা মৃত আব্দুল মোনাফের ছেলে। ইতিমধ্যেই নলুয়ার এই রাজাকারপুত্র মাষ্টার দেলোয়ার আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রত্যাশী হয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিনজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরারবর আবেদনও জমা করেছেন। এদিকে অনুসন্ধানে আরো ওঠেছে একই এলাকার একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো:ইউনুসও চিহ্নিত রাজাকার তালিকায় থাকা আব্দুস সালামের পুত্র। সচেতন মহল জানান,চিন্তার বিষয় হলো পুরো নলুয়ায় রাজাকার তালিকায় যাদের নাম ওঠে এসেছে তারা সবাই একই ওয়ার্ডের এবং একই এলাকার ও একই ইউনিয়ন পরিষদের কেউ চেয়ারম্যান কেউ ইউপি সদস্য আর কেউ একই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে নৌকা প্রত্যাশী। এদিকে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীগের একক সুপারিশে চিহ্নিত জামায়াত নেতা নুর আহমদ চেয়ারম্যানকে নৌকার টিকেটে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান বানিয়ে দলের বারোটা বাজিয়েছেন মর্মে খোঁদ উপজেলা আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতা চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন,সোনাকানিয়ার চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের কিন্তু কার্যক্রম জামায়াতের তা কেবল সাতকানিয়ায় সম্ভব গোটা বাংলাদেশে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা বলেন,যে কোন মূল্যে জামায়াত নেতা বর্তমানে নৌকার চেয়ারম্যান নুর আহমদ চৌধুরীর এবং আরেক অনুপ্রবেশকারী ধর্মপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান ইলিয়াসের নৌকা মনোনয়ন এবার ঠেকাব, পাশাপাশি আমরা তাদের আদ্যোপান্ত নিয়ে দলীয় সভানেত্রীর শরণাপন্ন হবো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান,নেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই যদি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সাতকানিয়ার মনোনয়ন বাছাইয়ে নজর না দেন তাহলে অনেক বির্তর্কিত আর নাশকতা মামলার আসামী বা নাশকতার নির্দেশকারীর মত গডফাদারও নৌকা পেয়ে যাবে। এদিকে অনেক নৌকার চেয়ারম্যান ঘটে যাওয়া শারদীয় দূূর্গাপূজায় সাম্প্রদায়িক হামলাকে সমর্থন দিয়ে দলীয় শৃংখলার পরিপন্থী কাজও করেছেন, এবং গেলো ৩০শে অক্টোবর সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সম্প্রীতির সমাবেশে গিয়ে আবার অসাম্প্রদায়িতকার বক্তব্যও রেখেছেন। এসব দুই মুখি কালসাপরাও বহাল নৌকার চেয়ারম্যান হিসেবে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনেও তারা চাই নৌকার পুনরায় মাঝি হতে! এদিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই জানান,এটা কেবল তখনি সম্ভব হবে যখনি উপজেলা আওয়ামীলীগ আর চট্টগ্রাম দক্ষিনজেলা আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা যাবে। ম্যানেজ হলেও আবার সেসব প্রার্থীদের বয়কট পাশাপাশি বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বাংলাদেশের জামায়াতের আতুঁড় ঘর খ্যাত সাতকানিয়ায়।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.