শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এতো উন্নয়নের পরও কিছু মানুষ বিদেশে ও দেশে বসে অপপ্রচার করছে। এদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে, অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।’
জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে মন্তব্য করে দলটির সভাপতি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ কিন্তু আমাদের সাথে আছে।’
আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা এবং মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে হনুমানের পায়ের ওপর কোরআন শরিফ রেখে হনুমানের গদাটা নিয়ে হেঁটে চলে গেল। একজন মুসলমান হয়ে এই কোরআন শরীফের অবমাননা কীভাবে করে?’
তিনি বলেন, ‘যে কোরআন শরীফটা নিয়ে মন্দিরে রেখেছে, হনুমানের পায়ের ওপর রেখেছে সে কি কম দোষী। সেই তো কোরআন শরীফের অবমাননা করেছে? সেটাই তো বড় কথা। আর সেটা নিয়ে একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। যাক সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি এবং এ ব্যাপারে আমাদের নেতাকর্মীরা যথেষ্ট সক্রিয় ছিল।’
‘এর পেছনে কারা? সেটাও কিন্তু তদন্ত করে বের হয়েছে, যেহেতু মামলা চলছে সেজন্য হয়তো সব বলবো না আমরা কিন্তু সেই তথ্য জানি।’-যোগ করেন প্
তিনি বলেন, ‘যত আমরা ভালো কাজ করি, সেখানে একটা বির্তক সৃষ্টি করার চেষ্টা সবসময় এদের আছে। এটা বিএনপি জামায়াতই সব থেকে বেশি সক্রিয়। এখন আবার নতুন কিছু (দল) গজাচ্ছে।’
বিএনপি আমলে নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সময়ে বিএনপির হাতে যারা নির্যাতিত তাদের নিজেদের অন্য বক্তৃতা করার দরকার নাই। কী অত্যাচার করেছে সেটা মানুষকে জানানো উচিত। যাতে আমাদের যারা এই যে বুদ্ধি বিকিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের বুদ্ধির গোড়ায় অন্তত কিছুটা হলেও যেন জ্ঞান ঢোকে এবং বাস্তব অবস্থাটা যেন তারা জানতে পারে।’
নিজে সব সময় খালেদা জিয়ার টার্গেটে ছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা জানেন যে খালেদা জিয়ার বক্তব্যই ছিল…। সবসময় টার্গেট আমি, আমার বিষয়ে বলেছিল শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধী দলের নেতাও কোনো দিন হতে পারবে না। তারপরই কিন্তু বোমা পোতা হলো।’
বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কার্যীনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।