চবি প্রতিনিধি :
স্থানীয় লোকজন কতৃক মাদকসহ আটক হয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতা সাদেক হোসেন টিপু। এর প্রতিবাদে স্মরণ চত্বরের (জিরোপয়েন্ট) প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টায় শাখা ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতা সাদেক হোসেন টিপুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট এলাকায় মারধর কেন্দ্র করেছে স্থানীয় ডিস ব্যবসায়ী হানিফের লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ৯ টায় মূল ফটকে তালা দেয় ভিএক্স গ্রুপের কর্মীরা।এরপর রাত সোয়া দশটায় মূল ফটক খুলে দেয় তারা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চবি ১ নং গেট সংলগ্ন গ্রামীণ ব্যাংকের পিছনের আখড়া থেকে স্থানীয় লোকজন ইয়াবাসহ টিপুকে আটক করে।টিপু বিষয়টি তার বন্ধুদের জানালে প্রশান্ত ও রায়হান তাকে আনতে যায়। বিষয়টি সমাধান করতে স্থানীয় কাঠ ও ডিস ব্যবসায়ী রেজাউল সেখানে গেলে টিপু তার সাথে দুর্ব্যবহার করে। তখন তারা তাকে আটকে রাখতে চাইলে টিপু ছুটে চলে আসে। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট অবরোধ করে।
মারধরের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা সাদেক হোসেন টিপুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গ্রন্থাগার সম্পাদক ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা মিজানুর রহমান বিপুল বলেন, সাদেক এক নম্বর গেইট এলাকায় বসে চা খাচ্ছিলো। এসময় রেজা নামে স্থানীয় ওই লোক তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা তার গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচীতে যেতে বাধ্য হবে।
অপরদিকে অভিযুক্ত রেজাউল করিম মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন , আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট সংলগ্ন গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে একটি গ্যারেজে মোটরসাইকেল ঠিক করছিলাম। এসময় টিপু গ্রামীণ ব্যাংকের পেছন থেকে আসছিলো। যেখান থেকে কয়েকদিন আগে এক ইয়াবা সেবনকারীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। আমার এক ছোট ভাই তার পথ আটকালে সে পানির দিকে কিছু একটা ছুঁড়ে মারে। এসব বিষয় নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ তর্কাতর্কি হয়। তারা ইয়াবা পেয়েছে বলে তাকে আটকে রাখতে চাইলে আমি তার সাথে কথা বলি। সে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করলে আমার ছোটভাইয়েরা তাকে মারতে উদ্যত হয়। আমি তাদেরকে থামিয়ে দেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, মাদকের কারবার নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় ঠুনকো কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট অবরোধ সমীচীন নয়। তাদের অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে দিতে বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে স্থানীয়দের সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর পাঁয়তারা বরদাশত করা হবে না।