যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে বন্দুক হামলা, নিহত ৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে একটি হাসপাতালে রাইফেল ও হ্যান্ডগান নিয়ে সশস্ত্র এক ব্যক্তির বন্দুক হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় নিহত হয়েছেন অভিযুক্ত নিজেও।

স্থানীয় সময় বুধবার (১ জুন) দেশটির ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিলোমিটার) উত্তর-পূর্বে তুলসা শহরে একটি মেডিকেল সেন্টারের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) মার্কিন পুলিশের বরাত দিয়ে এক প্রাতবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বাইরে তুলসার ডেপুটি পুলিশ প্রধান জোনাথন ব্রুকস সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত বন্দুকধারীও মারা গেছেন। মূলত আত্মঘাতী আঘাতের কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন ওই অভিযুক্ত।

ব্রুকস আরও বলেছেন, পুলিশ হামলাকারী লোকটির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে। তার বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রয়টার্স বলছে, মেডিকেল সেন্টারে গোলাগুলির বিষয়ে ফোনকল পাওয়ার তিন মিনিট পর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর পাঁচ মিনিট পর সেখানে হামলার শিকার কয়েকজন ব্যক্তি ও সন্দেহভাজন হামলাকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। অভিযুক্ত বন্দুকধারীর হাতে একটি রাইফেল ও একটি হ্যান্ডগান ছিল।

তুলসা শহরের মেয়র জি.টি. বাইনুম হামলার খবর পাওয়ার পরপরই ব্যবস্থা নেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, মেডিকেল সেন্টারের নাটালি বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় বন্দুক হামলার এই ঘটনা ঘটে। যেখানে একটি অর্থোপেডিক সেন্টার-সহ ডাক্তারের চেম্বার রয়েছে।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না বন্দুক হামলার। মঙ্গলবার (৩১ মে) নিউ অরলিন্সের জেভিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ লুইজিয়ানা কনভোকেশন সেন্টারে মরিস জেফ কমিউনিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে দুই নারীর মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা গোলাগুলিতে রূপ নেয়।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান তারা। এদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে গুরুতর আহত এক নারী মারা যান বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ঘটনা তদন্তে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বন্দুক সহিংসতার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মার্কিনিরা। মঙ্গলবারও ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের শিক্ষার্থীরা বন্দুক হামলা বন্ধে ব্যক্তিগত অস্ত্র আইন সংস্কারের দাবি জানান। অস্ত্রবিরোধী বিভিন্ন ব্যানার ও স্লোগানে স্লোগানে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.