চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলের ভেতরের একটি ভাড়াঘর থেকে টিসিবির পণ্য উদ্ধার করেছে র্যাব। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারি ভর্তুকিতে নিয়মিত বাজার দরের চেয়ে কম দামে বিক্রি করার কথা থাকলেও তা না করে এসব পণ্য খোলা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছিলো আব্দুল আজিজ সুমন নামে ৩৫ বছর বয়সী এক যুবক। তার গোডাউনে অভিযান চালিয়ে টিসিবি লোগোযুক্ত ৩৯৮ লিটার সয়াবিন তেল, ২০০ কেজি মসুর ডাল এবং ২৫০ কেজি চিনি জব্দ করে র্যাব।
টিসিবির পণ্য কালোবাজারির অভিযোগে আব্দুল আজিজ সুমনকে আটক করেছে র্যাব। সে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর এনায়েতপুর এলাকার সুলতান আহমেদের সন্তান।
রবিবার (২১ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার। ২০ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
সুমন র্যাবকে জানিয়েছে, টিসিবির ডিলারের কাছ থেকে দীর্ঘদিন পণ্য সংগ্রহ করে খোলা বাজারে বিক্রি করে আসছিলো সে।
খোলা বাজারে যখন তেলের দাম ২০০টাকা, চিনি ৯০ টাকা ও ডা ১৪০ টাকা তখন নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকার কর্তৃক ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা এবং চিনি ৫৫ টাকায় খোলা বাজারে ভোক্তাদের মাঝে বিক্রয়ের কথা।
‘কিন্তু তা না করে এসব পণ্য মজুদ করে টিসিবির মোড়ক পরিবর্তন করে নিয়মিত দামে এসব পণ্য বিক্রি করছিলো সুমন। এসব পণ্য সুমন সংগ্রহ করতো টিসিবি’র ডিলার মো. বাবু (৩৫) এর মাধ্যমে। সুমন জানিয়েছে, বাবুর কাছ থেকে টিসিবির পণ্য সংগ্রহের পর সেগুলো গোডাউনে মজুদ রেখে টিসিবি’র লোগো সম্বলিত সয়াবিন তেলের বোতল থেকে খালি বোতলে বোতলজাত করে এবং চিনি ও ডাল সাধারণ প্যাকেটে প্যাজেটজাত করে বিক্রয় করে আসছে।’ বলছিলেন র্যাব কর্মকর্তা নূরুল আবছার।
তিনি বলেন, ‘নিজেদের ভাড়াকৃত গোডাউনে অবৈধভাবে মজুদ করে পরবর্তীতে কালোবাজারের মাধ্যমে অন্যান্য সাধারণ পণ্যের ন্যায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করে অসহায় সাধারণ ভোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছে। যার দরুন সাধারণ ভোক্তাগণ দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পায় না। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটক সুমনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’