কারাবাসের বদলে পড়তে হবে ৫ ওয়াক্ত নামাজ , এতিমখানায় দিতে হবে দুটি কোরআন— এমন শর্তে মাদক মামলার দুই আসামিকে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে অভিযোগ গঠনের সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এদিন চার্জ গঠনের সময়ে সবিস্তারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— মোহাম্মদ হোসেন (৪২) ও আবদুর রহিম (৩০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হাদ চৌধুরী রনি বলেন, এই দুই আসামি এক কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রামের বন্দর থানা পুলিশের হাতে। মামলার চার্জ গঠনের দিন সোমবার আদালতে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন আসামিরা। তাদের বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলা না থাকায় ব্যতিক্রমী এমন সাজা প্রদান করেন বিচারক। মামলায় ১ বছরের কারাবাসের পরিবর্তে, এক বছর টানা ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় এবং দুটি এতিমখানায় বাংলা অনুবাদসহ কোরআন শরীফ প্রদানের নির্দেশ দেন দুজনকে।
তিনি আরও বলেন, খুবই সুন্দর একটি রায় দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে আমরাও সন্তুষ্ট, রাষ্ট্রপক্ষও সন্তুষ্ট।
এদিকে আদালতের এমন সাজা পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দু’জনই।
নির্দেশনাপ্রাপ্ত আসামি আবদুর রহিম বলেন, আমরা বলেছিলাম আদালত আমাদের যে সাজা দেবে তা আমরা মাথা পেতে নেবো। এরপর আমাদের ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় এবং দুটি কোরআন শরীফ দানের শর্তে মাফ করে দিয়েছেন। আদালতের এই রায় পালন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একই মামলার আরেক নির্দেশনাপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে ওনার (বিচারকের) জন্য দোয়া করবো। আল্লাহ যেনো তাকে হেদায়েত দান করেন এবং আমরা যাতে ভালোভাবে থাকতে পারি, এটিই আমরা কামনা করি।
এরআগে গত ১৪ জুন সহকর্মীর বিরুদ্ধে কটূক্তি করায় মানহানির একটি মামলায় ফাহমিদা রাহমান নামে এক সংগীত শিল্পীকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের বদলে বিনাবেতনে ৬ মাস নজরুল সঙ্গীত শেখানোর নির্দেশ দেন একই আদালত।