অনিয়ম পেলে কোনো হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন থেকে হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রেজিস্ট্রেশন নম্বর সাইনবোর্ডে লিখতে হবে। এমনকি সাইনবোর্ডে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে কিউআর কোড বসাতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন সাইনবোর্ড লাগানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
কিছু প্রতিষ্ঠানকে আমরা সপ্তাহ, ১০ দিনের সময় দিয়েছি। যাতে সংশোধন হতে পারে। যদি তারা সংশোধন না হয় তাহলে আমার স্থায়ী ব্যবস্থা নেব। সিভিল সার্জন চাইলেই কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পারে। তবে আমরা চাই না কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর হতে। যেহেতু এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেকের রুটি রুজি জড়িত। আবার তার মানে এই নয় যে, তারা অনিয়ম করলেই ছাড় দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
সভায় সিভিল সার্জন চট্টগ্রামের ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।
ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, জনসংখ্যার বিচারে চট্টগ্রামে ডায়রিয়া পরিস্থিতি তেমন খারাপ নয়। তারপর যখন একই এলাকা থেকে সব রোগী আসছে, আমরা বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে একটি টিম ঘটনাস্থলও ঘুরে দেখেছেন। এতে ওই এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পানিবাহিত রোগের জন্য উপযোগী বলে জানিয়েছেন তদন্ত টিম।
ম্যালেরিয়ার বিষয়ে চট্টগ্রামে উদ্বেগজনক কিছু না ঘটলেও ডেঙ্গুর বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিটি করপোরেশন মশক নিধনে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তার ফলাফল নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন রয়েছে। উদ্যোগ যাই হোক ব্যক্তি সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। কারণ চলতি বছর ডেঙ্গুতে ১৫৪ জন আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৪৭ জনই শিশু।
বৃহস্পতিবারও নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি টিম। এদিন তিনটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে কোনো অনিয়ম পায়নি।