উড়ন্ত সিলেটকে থামিয়ে কুমিল্লার দ্বিতীয় জয়

 

নবম বিপিএলে রীতিমতো উড়ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিই জিতেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ষষ্ঠ ম্যাচে সিলেটের লাগাম টেনে ধরল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। হাসান আলী, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধদের দারুণ বোলিংয়ের পর লিটন কুমার দাসের ক্যামিও ইনিংসে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে কুমিল্লা।

আগে ব্যাটিং করে ৫৩ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সিলেট। সেখান থেকে দলকে ১৩৩ পর্যন্ত টেনে নেন দুই বিদেশি ইমাদ ওয়াসিম ও থিসারা পেরেরা। পরে লিটন কুমার শুরুতে ঝড় তুললে মনে হচ্ছিল সহজেই জিততে যাচ্ছে কুমিল্লা। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দুর্দান্ত বোলিং ও অধিনায়কত্বে শেষ দিকে বড় চাপেই পরেছিল কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৫ উইকেটে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে দলটি।

পঞ্চম ম্যাচে কুমিল্লার এটা দ্বিতীয় জয়। টানা তিন ম্যাচ হারার পর দুই ম্যাচ জিতল বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটি। অপর দিকে মাশরাফির সিলেট হারল প্রথম ম্যাচ।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৩৩ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতে সিলেটকে এলোমেলো করে দিতে চেয়েছেন লিটন। মাশরাফি বিন মুর্তজার করা ইনিংসের প্রথম বলেই চার হাঁকিয়েছেন লিটন। সেই মাশরাফির বলেই থেমেছেন ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে। ততোক্ষণে কুমিল্লার জয়ের রাস্তা পাকা। লিটন ফেরার আগে মাত্র ৪২ বলে ৭০ রান করেছেন। তার ইনিংসে চারের মার ৭টি, ছক্কা ৪টি।

তবে অপরপ্রান্ত থেকে ইনিংস ধরে এগুতে পারেননি কেউই। ১৭তম ওভারে মাশরাফির করা ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পরেছিল কুমিল্লা। অবশ্য ক্যারিবিয়ান ব্যাটার জনসন চার্লস বিপদ বাড়তে দেননি। ১৮ বলে ১৮ রানের এক ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন।

১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৩৪ রান তুলে ফেলে কুমিল্লা। চার্লস ছাড়াও দলটির পক্ষে ১৮ রান করেন ইমরুল কায়েস। সিলেটের হয়ে মাশরাফি ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন। যাতে চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার এখন মাশরাফি।

এর আগে শুরুতে বড় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরেছিল সিলেট। ৫৩ রানেই দলটি সপ্তম উইকেট হারিয়ে ফেললে মনে হচ্ছিল একশ হবে তো! সেখান থেকে পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম ও শ্রীলংকার থিসারা পেরেরা দলকে টেনেছেন। অষ্টম উইকেট জুটিতে ৬৩ বলে ৮০ রানের জুটি গড়েন দুজন। তবে সেটা যে যথেষ্ট ছিল না ম্যাচ শেষে পরিস্কার হয়ে গেল তা।

৩১ বলে ২টি করে চার ছয়ে ৪৩ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন থিসারা। ৩৩ বলে ৩ চার ১ ছিয়ে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন ইমাদ। সিলেটের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। কুমিল্লার হয়ে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও হাসান আলী দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.