পটিয়ায় হাইদগাঁও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ

পটিয়া  প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।শেষ পর্যন্ত ভোট ছাড়াই প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেছেন প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমাকান্ত মজুমদার। বিধি অনুযায়ী নির্বাচনের ৮০ দিন পূর্বে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে হয়। গত ৭ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত অনুমোদনের পর গত (১৭ জানুয়ারি) মঙ্গলবার ভোট গ্রহনের তারিখ নির্ধারিত হয়। কিন্তু ভোটার তালিকা চূড়ান্তের পর নতুন করে প্রিসাইডিং অফিসার লোকমান হাকিম নামে একজন অভিভাবককে হাতে লিখে ১১০৮ নম্বরে ভোটার করেন। এই নিয়ে মো: আরিফ নামে এক প্রার্থী পটিয়ার ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি বলে জানান। গত ৪ জানুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ঐদিন ৭ জন অভিভাবক সদস্য, ২ জন সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য, ২ জন দাতা সদস্য এবং ৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

 

 

পরদিন ৫ জানুয়ারি সকল প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার। পরে দাতা সদস্য প্রার্থী রোকেয়া সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ৮ জন দাতা সদস্যের মধ্যে ১ জন কানাডা,১ জন লন্ডন এবং ১ জন দুবাই অবস্থান করছেন। বাকী ৫ জনের মধ্যে ১ জন আমার প্রস্তাবক এবং ১ জন আমার সমর্থক হলে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী কীভাবে বাকী ১ জনকে দিয়ে কীভাবে তার মনোনয়ন পত্র পূরণ করলেন। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার তার অভিযোগ আমলে না নিয়ে বলেন, বিদেশ থেকেও প্রস্তাবক, সমর্থক হওয়া যায়। তিনি কীভাবে স্বাক্ষর করলেন তা বলতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। এদিকে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের দিন গত ৭ জানুয়ারি পুলিশ দিয়ে প্রার্থী আবদুল মাবুদ, মো: আরিফ, সাগর চৌধুরী ও ফেরদৌস বেগমকে চাপ সৃষ্টি করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয় বলে তারা নির্বাচন থেকে সরে পড়েন। গত ১৭ জানুয়ারী শুধু দাতা সদস্য নির্বাচনের দিন ধার্য্য ছিল। দাতা সদস্য রোকেয়া বেগম নির্বাচনের দিন প্রার্থী হয়েও কেন ভোট বর্জন করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন সে অনেক কথা। যা বুঝার বুঝে নেন। প্রিসাইডিং অফিসার রমাকান্ত মজুমদার বলেন এক প্রার্থী অনুপস্থিত থাকলেও প্রার্থী সহ বাকী ২জন উপস্থিত থেকে ভোট দিয়েছেন। তিনি কেন আসেননি বলতে পারবোনা। উল্লেখ্য দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে এই স্কুলটি নিয়ে দুটি প্রতিদ্বন্ধি গ্রুপের মধ্যে বিভেদ এবং মামলা, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলছে। এই কারণে স্কুলটির পড়ালেখা বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম শরীফ নির্বাচন নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.