আনোয়ারা প্রতিনিধি: ‘প্রশাসনের একেরপর এক অভিযানেও থামছে না ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রির চক্রের তৎপরতা। দিনের বেলায় জমির ধাঁরে বন্ধ করে রাখে মাটি কাটার এস্কেভেটর, সন্ধ্যা হতেই শুরু হয় আনোয়ারায় ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার মহাৎসব। এসব মাটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক নির্মাণ, বাড়ি ভরাট কাজসহ যাচ্ছে অবৈধ ইটভাটায়। আর এসব মাটি কেটে বিক্রি চক্রে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।’ গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের ঝিওরী এলাকায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল্লাহ্ আল মুমিন ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে এক মাটি কাটার চক্রের সদস্যকে। এসময় একটি ড্রাম্প ট্রাক, একটি মোটরসাইকেল, চারটি মোবাইলসহ ৩ জন গাড়ী চালককে আটক করেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কৃষকরা জানান, সাধারণ কৃষকদের ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার চক্রে বারখাইন ইউনিয়নে ঝিওরি এলাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহেদুর রহমান, আবুল কাশেমসহ রয়েছেন প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। ভয়ে কেউ প্রতিবাদও করে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমির মালিকদের কাছ থেকে নামমাত্র টাকা দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে বিশাল গর্তে পরিণত করছে জমিকে। এসব মাটি প্রতি ট্রাক ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে এ সিন্ডিকেট। এছাড়াও রাস্তা নির্মাণ ও নির্মাণধীন বাড়ির প্রয়োজনেও অনেকে এই মাটি কিনে নেন এবং প্রতি বিঘা জমির মাটি ৩০-৩৫ হাজার টাকায় কিনে নেন ইটভাটার মালিকরা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল্লাহ্ আল মুমিন বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে স্থানীয় শাকিল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির চক্রে জড়িতদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। এরআগে গত ৮ জানুয়ারী হাইলধর ইউনিয়নের মালঘর বাজারে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে একটি চক্রকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল্লাহ্ আল মুমিন। এসময় তিনি মাটি কাটার ২টি এস্কেভেটর, ৪টি ট্রাকসহ এক চালককে আটক করেন।