মাওলানা মামুনুল হক চরিত্রহীন: শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল

আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষাউপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, হেফাজতের একজন ব্যক্তি যে মামুনুল হক নামের, সে ইতিমধ্যে ভয়ে চট্টগ্রামে আসে নাই। এর আগে আমরা প্রতিরোধ করেছিলাম, প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এই ব্যক্তি সে একটা চরিত্রহীন ব্যক্তি। সে মিনিটে একজনকে তার স্ত্রী বানায়, একজনকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বানায়। তাদের কর্মী মারা গিয়েছে। সাধারণ মাদ্রাসার এতিমখানার ছাত্ররা তাদের কারণে নিহত হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে তারা কী করে এ ধরণের অপকর্মে লিপ্ত থাকে আমরা জানতে চাই। এদের চরিত্র জাতি বুঝতে পেরেছে।’

কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কারও দ্বারা ব্যবহৃত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদেরকে ব্যবহার করে, এই হেফাজতে ইসলামের নাম ব্যবহার করে, যারা দেশে অরাজকতা করছে, দ্বীন-ই-ইসলামের প্রতি সকলের যে ভক্তি, আমরা ধর্মভীরু মানুষ, আমাদের ধর্মপরায়ণতাকে পুঁজি করে যারা আপনাদের ব্যবহার করছে, সতর্ক হয়ে যান, আপনারা জানেন আপনারা ব্যবহৃত হচ্ছেন। আপনাদেরকে শুধুমাত্র উস্কানি দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং তার পরবর্তীতে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় আপনাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। অনুরোধ জানাব আপনারা এ কাজে বিরত থাকবেন।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আখতার প্রমুখ।

এদিকে দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হবে বলেন, ‘আমি একাধিক বিয়ে করেছি। শরীয়তে, ইসলামে একজন মুসলিম পুরুষকে চার চারটি বিয়ে করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। দেশীয় আইনেও চার বিবাহ করার প্রতি কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা বা অনুৎসাহ নেই। কাজেই আমি যদি চারটি বিবাহ করি তাহলে এতে কার কী?

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমার একাধিক বিবাহের ওপর কোনো অভিযোগ বা আপত্তি থাকে সেটি থাকবে আমার পরিবারের, আমার স্ত্রীদের। একাধিক বিবাহ করে আমি যদি আমাদের স্ত্রীদেরকে কোনো অধিকার বঞ্চিত করে থাকি, তাহলে তারা অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে কোথাও কোনো অভিযোগ দায়ের করতেন। একাধিক বিয়ে করার ক্ষেত্রে আমার স্ত্রীকে কিভাবে ম্যানেজ করবো, কোন কথা দিয়ে আমি প্রবোধ দেব, কোন পরিস্থিতিতে কোন কথা বলে আমি সান্ত্বনা দেব, সেটিও আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ইসলামী শরিয়তে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ এখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে। স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য, খুশি করবার জন্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে সত্যকে গোপন করার অবকাশ রয়েছে। সেই বিষয়ে যদি কোনো অভিযোগ থেকেও থাকে সেট থাকবে একান্তই স্ত্রীর।’

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.