গেল দুই মাসে শিবলী নোমান- আরাফাতের ফাঁদে ৫১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার, ৪৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানা পুলিশের গত দুই মাসের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩৭টি। গ্রেপ্তার হয়েছে ৫১ আসামি।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত যোগদানের পর থেকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমানের নির্দেশনায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন। সড়ক-মহাসড়কে ‘ফাঁদ’ বসিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেন। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি জব্দ করেন পরিবহনে ব্যবহৃত যানবাহনও।

সাতকানিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর মিরসরাই থানা থেকে সাতকানিয়া থানায় যোগদান করেন অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত। তিনি যোগদানের পর থেকে থানার সব অফিসারকে মাদক, বাল্যবিবাহ, সন্ত্রাস ও জুয়ার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলতে নির্দেশ দেন। এরপর থেকে একে একে ধরা পড়তে থাকে মাদকব্যবসায়ীরা। এ পর্যন্ত সাতকানিয়ায় বিভিন্ন অভিযানে ৪৫ হাজার ৮১৫ পিস ইয়াবা, ১৮০ লিটার চোলাই মদ, ৭০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত বলেন, গত দুমাসে সাতকানিয়া থেকে মাদকসহ ৫১ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় নতুন করে ৩৭টি মামলা হয়েছে। এসব ঘটনা বিচারাধীন। মাদক, বাল্য বিবাহ, জুয়াখেলাসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেলের জিরো টলারেন্স ঘোষণা রয়েছে। আমরা সে মোতাবেক কাজ করছি।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.