বেগুন নিয়ে নানা কথা প্রচলিত-যার নেই কোনো গুণ, সে-ই হলো বেগুন। আবার অনেকে বলেন, যার আছে বহুগুণ, সে-ই হলো বেগুন। সে যাই হোক, রমজান এলে বেগুন চিনতে আর গুণবিচারীর দরকার হয় না। ইফতারিতে বেগুনী অন্যতম অনুসঙ্গ হওয়ায় এ সময় নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ে সবচেয়ে বেশি।
এবারও লকডাউন ও রোজার অজুহাতে বেগুনের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। গত শনিবার ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বেগুন আজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বেগুনের গায়ে এমন আগুন লাগানো দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাজার করতে আসা সাধারণ ক্রেতারা।
পহেলা বৈশাখের সকালে নগরের ঈদগাঁ কাঁচাবাজার ঘুরে এমনটাই দেখা যায়। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, একদিকে লকডাউন শুরু হয়েছে। অন্যদিকে রোজার কারণে বাজারে বেগুনের চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু সে অনুপাতে সরবরাহ নেই। তাই দাম বেড়ে গেছে দ্বিগুণ।
বাজারে মোটা বেগুন প্রতিকেজি ৮০ টাকায় ও লম্বা মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদগাঁ কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী শিমুল হোসেন বলেন, ‘বাজারে মাল সংকট রয়েছে। লকডাউনের কারণে পণ্য খুব কম আসছে। তাই দাম বেড়ে গেছে। সামনে আরও দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুধু বেগুন নয়; শসা, লেবু ও গাজরের দামও বেড়েছে। পেঁপে আর আলু ছাড়া কোনো সবজিই এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকার নিচে নেই।’
বাজারে ৫০ টাকার শসা এখন ৮০ টাকায়, ঢেড়শ ও কাচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০ টাকায়। তাছাড়া পেঁপে ৩০ টাকা ও আলু ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বেগুন কিনতে আসা শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘রোজায় বেগুনী ছাড়া ইফতারটা তেমন জমে না। পাশাপাশি সারাদিন রোজা রাখার পর বেগুনের তরকারি বা ভর্তা দিয়ে ভাত খেতেও ভালো লাগে। কিন্তু সবজিটির দাম তো অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে। ৪০ টাকার বেগুন ৮০ টাকা। সবকিছুই যেন মঘের মুল্লুক, যে যার মনমতো দাম বাড়াচ্ছে।’