আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেছেন, জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক রাখার জন্য যেভাবে লাইন ধরে একের পর এক বিনা বিচারে মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। একটি কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের কার্যক্রম শেষ করা যাবে না বলে আরেকটি কারাগারে পাঠিয়ে একের পর এক ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডগুলোর যেন মানবাধিকার নেই।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ আয়োজিত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে প্রতীকী অনশনে এসব কথা বলেন তিনি।
আমিনুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডে নিহতদের জন্য অথবা এই ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের জন্য কোনো মানবাধিকার নেই। মনে হয় মানবাধিকার শুধু এ দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জন্য, অগ্নিদগ্ধে নিহত ও আহতদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের জন্য। এ অবস্থার পেছনের মূল কারণ হচ্ছে রাজনীতি।
তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ২০১৩ সালের পর থেকে আজ এখানে যারা আছেন তাদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশার সুযোগ আমার হয়েছে। আমি মাঝেমধ্যে তাদের কথা শুনতে শুনতে বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। আমার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। আমার চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। কী ভয়ঙ্করভাবে নিপীড়ন করেছে। কী ভয়ঙ্করভাবে হামলা হয়েছে। এ হামলার শিকার যারা হয়েছে, যারা স্বজন হারিয়েছে এবং যারা অঙ্গ হারিয়েছে, তাদের বক্তব্য শোনার পর প্রধানমন্ত্রীও চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ভয়ংকর আন্দোলনের নামে পৃথিবীতে কেউ ভয়ংকর অপরাধ দেখেনি। আমরা নকশালবাড়ি আন্দোলনের কথা শুনেছি। হয়ত কাউকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এভাবে পুড়িয়ে পুড়িয়ে, প্রতিটি মুহূর্তে যন্ত্রণা সহ্য করে মৃত্যুর কোনো নজির পৃথিবীতে নেই। আমরা হিটলারের গ্যাস চেম্বারে হত্যাকাণ্ডের কথা জানি। আমার মনে হয়, এদের ওপর যে নিপীড়ন হয়েছে সেটা শুধু হিটলারের গ্যাস চেম্বারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেই তুলনীয় হতে পারে।