বাঁশখালীতে কাকঁরোল চুরির অভিযোগে মারধরে কৃষকের ‘মৃত্যু’, আটক ৩

বাঁশখালী প্রতিনিধি»

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে হাবিব উল্লাহ (২৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে স্থানীয়রা বলছে, কাঁকরোল চুরির অপবাদে তাকে মারধর করার অপমান সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

বুধবার ভোরে উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি মুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাবিব উল্লাহ স্থানীয় আবদুল মজিদের ছেলে।

জানা গেছে, বুধবার সকালে নিজেদের করলা খেতে কাজ করছিলেন হাবিব উল্লাহ। ফেরার পথে পাশের জমির কাকঁরোল ক্ষেত থেকে কাঁকরোল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে নাতে ধরা পড়েন তিনি। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে কাঁকরোল চুরির অপবাদ ও মারধরের অপমান সইতে না পরে বিষপান করে হাবিবুল্লাহ। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের  স্ত্রী রোকসানা আক্তার বলেন, বুধবার ভোরে নিজেদের কাঁকরোল খেতে কাজ করছিলাম আমি। ওই সময় নুরুল কাদের, মো. শাকিল, দোস্ত মোহাম্মদ এসে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। তখন আমার চিৎকার শুনে আমার স্বামী এগিয়ে আসলে তাকে ধারালো দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। তখন তাকে আমরা উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়।

স্থানীয়দের বরাতে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন জানান, ‘আমি এবং সার্কেল স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাবিব উল্লাহর মালিকানাধীন কাঁকরোল ক্ষেতের পাশাপাশি শাকিব নামের আরও একজনের কাঁকরোল ক্ষেত ছিল। বুধবার ভোরে ওই কাঁকরোল ক্ষেত থেকে হাবিবউল্লাহ কাঁকরোল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে নুরুল কাদের, দোস্ত মোহাম্মদ এবং হাবিবউল্লাহর মা-বাবা ঘটনা স্থলে এসে তাকে স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানাহেঁচড়া করে। তিনি যেতে রাজি না হলে তাকে মারধর করেন নুরুল কাদের। পরে সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান মেম্বার বিচার করার কথা বলে তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় তিনি বাড়িতে গিয়ে কেন তাকে তারা মারধর করল এই অপমান সইতে না পেরে বিষপান করেন। পরিবারের সদস্যরা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজন থানা হেফাজতে আছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও এজাহার দেওয়া হয়নি।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.