নিরাপদ ফল উৎপাদনে পাহাড়িকা এগ্রো
স্বাদের দিক থেকে সেরা হওয়ায় দেশজুড়ে পাহাড়িকা এগ্রোর আম ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে
যেখানে প্রতিনিয়ত ফল উৎপাদনে কীটনাশক এবং ফল সংরক্ষনে ব্যাবহৃত হচ্ছে মানবদেহের জন্য বিষাক্ত ফরমালিন যেখানে পাহাড়িকা এগ্রো ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে উৎপাদন করতেছে নিরাপদ ও সুস্বাদু আম। ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তির মাধ্যমে ফল গাছে থাকা অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা বয়সে বিশেষ ধরনের ব্যাগ দ্বারা ফলকে আবৃত করে রাখা হয়। ব্যাগিং করার পর থেকে ফল সংগ্রহ করা পর্যন্ত গাছেই লাগানো থাকে ব্যাগটি। ফ্রুট ব্যাগিং এর মাধ্যমে আম উৎপাদনের বালাইনাশকের ব্যাবহার না করে পরিবেশের ক্ষতি না করেই স্বাস্থ্যসম্মত আম উৎপাদন করতেছে পাহাড়িকা এগ্রো।
ব্যাগিং প্রযুক্তির সুবিধাঃ নিরাপদ, বিষমুক্ত ও প্রিমিয়াম আম উৎপাদন। বালাইনাশক ব্যবহার ছাড়াই শতভাগ রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণমুক্ত ফ্রেশ আম সরাসরি পাহাড়িকার এগ্রোর বাগান থেকে স্বাস্থ্য সচেতন ভোক্তার টেবিলে। এতে করে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য ঝুকি বিন্দুমাত্রই থাকছেন অন্যদিকে ভোক্তা স্বাদ নিতে পারতেছেন পোকামুক্ত সুস্বাদু রসালো মিষ্টি আম।
এই প্রযুক্তিতে গাছে ফুল আসার পর পরেই গাছে দেওয়া হয় ভিটামিন, যাতে আম অর্গানিক ভাবে মিষ্টি ও পুষ্টিক হয় এরপর আমের বয়স জখন ৪০ দিন সেই থেকে হারবেস্টিং পর্যন্ত পাহাড়িকা এগ্রোর বাগানে ফ্রুট ব্যাগের মধ্যে আমগুলোকে রাখা হয়। প্রতি সপ্তাহে কৃষি কর্মকর্তা দিয়ে বাগান এর পর্যবেক্ষণ করা এবং সারাবছর এই পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া চলমান রাখা হয়। এই ফ্রুট ব্যাগ ব্যবহারের ফলে আমের সব ধরনের রোগবালাই, পোকামাকড় দমন করা সম্ভব হয়েছে। অধিকন্তু, আমের আকর্ষণীয় রং বজায় রেখে সংগ্রহকাল বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। আম হার্ভেস্টিং এর সময় দেখে আম গাছ থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করে যাতে আম গাছে পেকে যায় এবং কোন প্রকার কার্বাইট বা ফরমালিন ব্যবহার করতে না হয়। বর্তমানে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রিমিয়াম আম উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে নিরাপদ ফল পৌছে দিচ্ছেন পাহাড়িকা এগ্রো। তারপর সর্বশেষ প্রক্রিয়ায় আম যায় হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে, এতে আমে পাংগাস (যা আমকে তাড়াতাড়ি নষ্ট করে ফেলে) থাকলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তারপরে ডেলিভারির জন্য প্রিমিয়াম প্যাকেজিং-এ আমকে বক্সিং করা হয়।