মহেশখালীতে ট্রাক আটকিয়ে টাকা আদায় ও ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর সড়কে পানবাহী ট্রাক থামিয়ে টাকা আদায়ের পর চালক ও ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২০ এপ্রিল রাত ১১ টায় শাপলাপুর জেএমঘাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ট্রাকে থাকা ব্যবসায়ীর নিকট থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী চকরিয়ার ব্যবসায়ী আবদুল করিম ও ট্রাক চালক ছৈয়দুল ইসলাম বলেন, “বারিয়া পাড়া থেকে পান ক্রয় করে জেএমঘাট বাজার পার হওয়ার সময় কয়েকজন লোক গাড়ি থামানোর সংকেত দেয়৷ গাড়ি থামালে স্থানীয় সরওয়ার ও আবু ছিদ্দিক লোকজন নিয়ে আমাদের টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। ঐসময় তারা আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়৷”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১১টার দিকে একাধিক মামলার আসামী সরওয়ার ও ছিদ্দিক একটি ট্রাককে থামিয়ে সেখান থেকে চালক ও ড্রাইভারকে মারধর করে নামিয়ে ফেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত সরওয়ার মার্ডার মামলা সহ একাধিক মামলার আসামী। তার সাথে পুলিশ, রাজনীতিবিদ ও নেতাদের সাথে ভাল সম্পর্ক আছে বলে এলাকায় বলে বেড়ায়। এতে করে এলাকার মানুষ তাকে ভয় পায়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরওয়ার বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তবে ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলতে সাহস পায়না। দীর্ঘদিন অপকর্ম করে সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি গড়ে তোলেছে বিশাল বাহিনী। এই বাহিনী শাপলাপুর পাহাড়ে আস্তানা গড়েছে বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়।

এলাকার লোকজন জানান, শাপলাপুর জেএমঘাট বাজারে এই সরওয়ার নামে মাত্র একটি দোকান করে। সেখানে মাঝেমধ্যে পুলিশ ও প্রভাবশালীদের নিয়ে আড্ডা দেয়। এতে করে সে তার ক্ষমতার জানান দেয়ার চেষ্টা করে। আর গ্রামের মানুষ তা বিশ্বাস করে সরওয়ারের বাহিনীকে ভয় পান।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এই সরওয়ার শাপলাপুরের আলোচিত লোকমান ও কলেজছাত্র মেহেদী হত্যা মামলার আসামী। পুলিশের তদন্তে তার নাম বাদ পড়লেও, বাদীপক্ষ উচ্চ আদালতে নারাজী দেয়। মামলা গুলো এখনো চলমান রয়েছে।

এছাড়াও আরো জানা যায়, ইতিপূর্বে সংঘটিত হওয়া শাপলাপুর সড়ক ডাকাতিতেও এই সরওয়ারের হাত রয়েছে। তার নিয়ন্ত্রিত বাহিনী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পেলে কিছুদিন নিষ্ক্রিয় হলেও এখন পূণরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

চট্টগ্রাম সংবাদ/জাই

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.