স্ত্রীর অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেন আদালত
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুন্নাহার রুমির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা
আদালত প্রতিবেদক
লাবণী আক্তার ও সাব্বির হোসেন হৃদয় দম্পতি। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে হলেও লাবণীর বয়স ১৮ না হওয়ায় রেজিস্ট্রি করা যায়নি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাবণীকে যৌতুকের জন্য মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী। দু মাস আগে লাবণী আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালতে আপোষের শর্তে জামিন নেয় হৃদয়। বৃহষ্পতিবার মামলাটির শুনানিতে আদালত উভয় পক্ষের সম্মতিতে তাদের কাবিন রেজিস্ট্রি করে দেন।
চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম কামরুন নাহার তার এজলাস কক্ষে তিন লাখ এক টাকা দেনমোহরে এ কাবিন করান।
বাদীর আইনজীবী আক্তার বেগম জানান, আপোষের বিষয়ে বাদীপক্ষও আগ্রহী ছিলেন। তবে, বিবাহের সময় বাদীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না-হওয়ায় কাবিননামা রেজিষ্ট্রেশন করা যায়নি। সেই সুযোগকে পুঁজি করে আসামি বাদীনিকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করেছেন। এখনো যদি কাবিননামা রেজিষ্ট্রেশন করে না দেয় তাহলে ভবিষ্যতে এরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে বাদীনি আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হবেন। তিনি কাবিননামা রেজিষ্ট্রেশন পূর্বক আপোষের বিষয় বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। আসামিও বাদীনির সঙ্গে সংসার করিতে আগ্রহী ছিলেন, তাদের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক বলবৎ আছে তাই মামলাটি আপোষে নিষ্পত্তির আবেদন করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে বাদী ও আসামির পিতা মাতাসহ আদালতে হাজির করে কাবি সম্পাদন করেন।
এসময় বিচারক বেগম কামরুন নাহার রুমী মহোদয়ের পক্ষ থেকে আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নাজির মোহাম্মদ আবু তাহের এবং বেঞ্চ সহকারী জয়নুল আবেদীন ও প্রসেস সার্ভার এম এ হাসান আদালতে উপস্থিত সকলকে মিষ্টিমুখ করান। পরক্ষণে আপোষে মামলা নিষ্পত্তি করে আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়। আদালতে উপস্থিত আইনজীবীগন বিজ্ঞ বিচারকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।